কলকাতা: পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কোর কমিটির বৈঠক শুরু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাস ভবনে৷ উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। এ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ৷ সূত্রের দাবি, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক। আজকেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পরে এক ব্যাক্তি এক পদ নীতি চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তা অনুসরণ করলে কলকাতা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী রদবদল করতে হবে৷ খোদ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদকে পরিবর্তন করতে হবে৷ কারণ, তিনি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী৷ পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়কে টিকিট দেওয়া যাবে না৷ কারণ, তিনি তৃণমূলের লোকসভার প্রতিনিধি৷ এই দু’জনের মতো কলকাতা পুরসভার একাধিক কো-অর্ডিনেটর আবার বিধায়ক কিংবা দলীয় কোনও বড় পদে রয়েছে৷ যে কারণে সকলকে সুযোগ দিতে রদবদল হবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তা কতটা কাটছাঁট করা হবে তা নিয়েই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো৷
এ দিকে জোট না হলেও কংগ্রেস-আইএসএফকে আসন ছেড়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামেরা৷ পুরসভার ১৪৪টি আসন। বামেরা প্রার্থী দিয়েছে ১২৮টিতে। বলা হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী দলগুলির জন্য ১৬ আসন ছেড়ে রাখা হল।বিধানসভা ভোটের আগে তৈরি হয়েছিল বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। কিন্তু গঠনের দিন থেকেই উঠেছিল এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন। প্রথম থেকে বেসুরো ছিল কংগ্রেস। আইএসএফ একাধিকবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। কিন্তু এই জোট ছাড়া ‘বিভ্রান্ত’ সিপিএমের পক্ষে বাংলার মাঠিতে টিকে থাকা কঠিন, তা আলিমুদ্দিনের পক্ককেশের নেতারা বুঝেছিলেন। একাধিক বিরোধিতা হয়েছে। মহম্মদ সেলিমের মতো নেতাদের কোণঠাসা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটের পথ খুলেই রাখতে হল বামেদের।
আরও পড়ুন-চার কন্যাকে প্রার্থী করে পুরভোটে চমক দিতে পারে তৃণমূল