কলকাতা: নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও কলকাতা পুরসভার জন্য কোনও রাজনৈতিক দল এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি ৷ তাই, বিভিন্ন রাজনাতিক দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিকে চেয়ে রয়েছে সকলে ৷ তবে, সবচেয়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ৷ কারণ, এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি অনুসরণ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাতে প্রার্থী তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ মন্ত্রী,বিধায়কদের ছেলে মেয়েদের প্রার্থী হওয়ার জোর জল্পনা রয়েছে৷ তালিকায় ফিরাহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষের মেয়েরা প্রার্থী হতে পারেন ৷ প্রাক্তন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের নামও শোনা যাচ্ছে ৷
বছর দুই আগে মেডিকেল পড়ুয়াদের আন্দোলন যোগ দিয়ে শাসক বিরোধী কথা বলে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে৷ অন্য দিকে, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে অসুস্থ হওয়ার পর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে সরাসরি রাজনীতিতে করতে শুরু করেন৷ বাকি অতীন ঘোষ কিংবা দেবাশীষ কুমারের মেয়ে দেবলীনা কুমারকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তেমন দেখা যায়নি৷
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজ্য বিধানসভার সদস্য ৷ মন্ত্রীও বটে ৷ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন ৷ পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যিনি মেয়রের দায়িত্ব সামলে এসেছেন৷ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মালা রায় আবার তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ৷ পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও বর্তমান বিধায়ক পদে অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদাররা রয়েছেন৷
শুধু দলীয় নীতি অনুসারে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রদবদল নয়, সংরক্ষণের গেরোয় অনেক ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর টিকিট নাও পেতে পারেন৷ অনেককে আবার নিজের ওয়ার্ডে ফিরে যেতে হতে পারে ৷ তৃণমূল সূত্রের দাবি, যে সমস্ত ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর টিকিট পাবেন না, অথচ দলের কোনও পদে নেই তাঁদের পাশের কোনও ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হতে পারে ৷ যেমন, ২০১৫ সালে নিজের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছেড়ে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছিলেন স্বপন সমাদ্দার ৷ এবার ৫৯ নম্নর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত ৷ তাঁকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হতে পারে ৷ ঠিক তেমনি ৮৯ ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর মমতা মজুমদারকে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে৷ পুর-প্রশাসক বোর্ডের সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে ৯০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হতে পারে৷ এই সমস্ত জল্পনা জোরাল হলেও আইপ্যাক ও তৃণমূল সূত্রের দাবি, শেষ মুহূর্তেও প্রার্থী তালিকায় বড় বদল আসতে পারে৷ কারণ, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেকেন্ড-ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ মতোই প্রার্থী তালিকা হবে ৷
অন্য দিকে, বামেরা কংগ্রেসের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৭ টি আসন ছেড়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক না হলে ওই ১৭ আসনেও প্রার্থী দেবে বামেরা৷ সিপিএম সূত্রে খবর, বিধানসভার মতো কলকাতা পুর-নির্বাচনেও ছাত্র-যুবদের প্রার্থী করতে চাইছে তারা৷ সে কারণে, কোভিডে সাধারণের মনে জায়গা নেওয়া রেড ভলান্টিয়ারদের প্রার্থী করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷