আইপিএল ১৪ লিগের ভারতীয় পর্বের খেলা বন্ধ হয়ে গেছে মে মাসের শুরুতে। করোনা অতিমারিতে টিমের বায়ো বাবল ভেঙে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্রিকেটাররা আর সাপোর্ট স্টাফরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এরপর আবার তা শুরু করার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের স্লট বের করেছে বিসিসিআই। পার্ট টু আয়োজনের জন্য তৈরি আরব আমির শাহি। মরু শহরে যখন এই পর্ব চালু করার কথা হচ্ছে, তখন অনেক বিদেশী ক্রিকেটের খেলতে পারবেন না বলে জানতে শুরু করেছেন। একই সময়, সেই সব বিদেশী ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের খেলা থাকছে। অতএব? ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এই সকল বিদেশী ক্রিকেটাররা চুক্তির পুরো অর্থ পাবেন না।
ভারতীয় বোর্ড কর্তারা ইতিমধ্যে শুরু করেছেন বিভিন্ন বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলা। যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তাদের ঘরোয়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ যেন এগিয়ে আনা হয়। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের এজেন্টরাও যোগাযোগ রাখছে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে।
নাম প্রকাশ করা যাবে না , এই শর্তে এক বোর্ড কর্তা স্পষ্ট বললেন, ” বিদেশী ক্রিকেটাররা আইপিএল পার্ট টু খেলতে না এলে, চুক্তি অনুযায়ী পুরো অর্থ পাবেন না। ” উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, পাট কামিন্সের কথা। এই ক্রিকেটারটির চুক্তি মূল্য ১৫.৫ কোটি টাকা। পার্ট টু তে তিনি না খেললে ৭.৭৫ কোটি টাকা (অর্ধেক মূল্য) পাবেন। বেন স্টোকসও জানিয়েছেন, তিনি এই পর্বে খেলতে পারবেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের এই চুক্তির অর্থ করা যাওয়ার ইস্যুটা বেজায় চাপে ফেলেছে। তাদের বোর্ড মোটেই তাদের জন্য মোটা অর্থ দিতে পারে না। অথচ এই আইপিএলের অর্থ তাদের আরও ভালো খেলার মোটিভেশনের কাজ করে। তাই ক্রিস গেইলের মতন ক্রিকেটাররা নিজ উদ্যোগে চেষ্টা চালাচ্ছেন, যাতে সবদিক বজায় রেখে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারেন।
আইপিএলের নিয়ম মতো, ক্রিকেটাররা চোটের জন্য খেলতে না পারলে পুরো চুক্তির অর্থ পাবেন। আর অন্যথায়, অর্থ কাটা যাবে। আর চুক্তির একটি নিয়ম হচ্ছে, যে দেশের যে ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ তার একটা অংশ পায় সেই ক্রিকেটারের দেশের বোর্ডও।
ছবি: সৌ – টুইটার।