দশম শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য জরুরি নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর। এই নম্বর পাঠাবেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাই। কিন্তু পর্ষদের দেওয়া এই নির্দেশিকার ওপর নতুন করে নির্দেশ চাপাতে চাইছেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। পর্ষদের দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দশম শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য দরকার নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর। কিন্তু পর্ষদকে যাতে নম্বর বাড়িয়ে পাঠানো হয় সে কারণে নিজেদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে গিয়ে রীতিমত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন অভিভাবকরা। কেউ অনুরোধ জানাচ্ছেন, কেউ ফোন করে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : পর্ষদে জমা পড়ছে নবম শ্রেণির ভুল নম্বর
এমনই দৃশ্য দেখা গেল কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত মনীন্দ্রনাথ হাই স্কুলে। পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। করোনা আবহে বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, নবম শ্রেণির পরীক্ষায় সঠিক মূল্যায়ন করেনি স্কুল কতৃপক্ষ। কোথাও তাদের প্রাপ্ত নম্বরের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও নবম শ্রেণিতে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা এবং পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের দশম শ্রেণিতে উর্ত্তীণ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর তাদের মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু নবম শ্রেণির রেজাল্টের ভিত্তিতে মাধ্যমিকের রেজাল্ট হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা পর্ষদ। ছাত্রছাত্রীদের আরও অভিযোগ, স্কুলের গাফিলতির ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে চলেছে। তাই পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। এই ভাবে টানা ৩ দিন আন্দোলনের পর প্রধান শিক্ষক তাঁদের সঠিক মূল্যায়নের আশ্বাস দিলে আন্দোলন তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা।