কলকাতা: কয়েক ঘণ্টার ধরে চেষ্টা চালানোর পরেও মিছিল শুরু করতে পারল না বিজেপি। মুরলিধর সেন লেন থেকে একাধিকবার গার্ডরেল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় শেষ পর্যন্ত নিরস্ত হতে হল বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। বিজেপির অভিযোগ, দলদাসে পরিণত হয়েছে পুলিশ। শাসকদলের সমস্ত কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া হলেও করোনার অজুহাত দেখিয়ে বিজেপির মিছিল আটকে দেওয়া হল।
দুপুর ১টায় সময় দলের রাজ্য সদর দফতর মুরলিধর সেন থেকে মিছিল শুরু কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তা শুরু হয়নি। সকাল থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। মিছিল যাতে কোনও ভাবেই বেরোতে না পারে, সে জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে দেয়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলের দিক এবং সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে গার্ডরেল দিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তুমুল বচসা-তর্কাতর্কি পুলিশের, বাড়ছে উত্তেজনা
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুলিশের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। মুরলিধর সেন লেনে কার্যত আটকা পড়ে যান গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। একে একে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা পৌঁছলেও মিছিল শুরু করা যায়নি। অবশেষে বিজেপি নেতারা জমায়েতকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখা শুরু করেন। রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা।
রবিবার মিছিলের অনুমতি চেয়ে লালবাজারে আবেদন করেছিল বিজেপি। সেই আবেদন খারিজ করে গতকালই কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রের মতো রাজ্য সরকারও পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাক, এই দাবিতে সোমবার বিধানসভা চত্ত্বরে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির পরিষদীয় দল। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে জমায়েত করা হয়।
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিল, গোলমালের আশঙ্কা
দীপাবলির দিন পেট্রোলের দাম ৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১০ টাকা কমায় কেন্দ্র। তার পর একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যও দাম কমায়। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে চাপে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকার তালিকা প্রকাশ করে জানায়, ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ভ্যাট কমিয়েছে। ১৪ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এখনও দাম কমায়নি। এর মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব সহ ১৪টি রাজ্য।