জলপাইগুড়ি : টানা বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে। কার্শিয়াং পুর এলাকায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। লাগাতার বৃষ্টি হয়েই চলেছে পাহাড়ে। জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে চরম সতর্কতা। চলছে মাইকে প্রচার। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সুকান্তনগর কলোনি সহ একাধিক নদী সংলগ্ন এলাকার প্রায় হাজারেরও বেশি পরিবার আটকে রয়েছে। তাদেরও সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। তৎপরতার সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ-এর টিম।
তিস্তা ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে বাড়ছে জলস্তর। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। তিস্তায় জল বাড়ায় জলপাইগুড়ির বিবেকানন্দপল্লি, সারদাপল্লি এলাকা জলমগ্ন। রাতে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। জলপাইগুড়ি পুর এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন মৌয়ামারি, চাঁপাডাঙা, নন্দনপুর।
আরও পড়ুন : জলে ডুবল লাঘাটা সেতু, বন্ধ যান চলাচল
সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জলস্ফীতি। সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর।গতকাল থেকে কালিম্পং জেলার উপর মেঘভাঙা বৃষ্টির ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়। এরপর থেকে আরও আতঙ্কের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। যার জেরে বন্যা দুর্গত বহু মানুষ। পরিস্থিতি সরজমিন তদন্ত করতে তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা দল নিয়ে রাতভর ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার। জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লিতে হাজার চারেক মানুষ বসবাস করে। সেই এলাকায় এখন জল ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার। খবর পেয়ে রাতেই টিম নিয়ে পৌঁছে যান পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগায় পুলিশ। এদিন রাতে বিবেকানন্দ পল্লিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল ও আইসি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আর একদিকে তিস্তার মৌয়ামারি চড়ে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার আটকে। সেখানে রাতেই পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থাও নেন তারা। দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ দল। তাদের মাধ্যমে এলাকায় পানীয় জলও পাঠানো হয়েছে।