গান্ধী-সাভারকার চলমান বিতর্কে এবার বামেদের প্রবেশ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর সাভারকার কিংবা তাঁর সংঘ পরিবারের অবদান ‘শূন্য’। বৃহস্পতিবার নিজের সাইটে এমনটাই দাবি করেন বাম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। ফেসবুকে একটি বড়সড় শূন্যের ছবি দিয়েছেন সূর্যকান্ত। তা নিচে স্পষ্ট ভাষায় লেখা রয়েছে, ” “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তার সংঘ পরিবার যতই ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করুন না কেন, বাস্তব এটাই যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাভারকার সহ সঙ্ঘ পরিবারের অবদান শূন্য।” এমন একটি পোস্টে যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। ইতিমধ্যে কয়েকশো শেয়ার লাইক কমেন্ট পড়ে গিয়েছে। প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
আরও পড়ুন: মহাত্মা’র নির্দেশেই ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাভারকার, বিতর্ক উস্কে দাবি রাজনাথের
গতকাল বুধবার সাভারকার কে নিয়ে তাঁর লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে মন্তব্য করেপ ড়ন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ফেসবুক পোস্ট
তিনি বলেন, “সাভারকারকে নিয়ে প্রচুর মিথ্যে প্রচারিত হয়েছে। বলা হয়েছে ইংরেজ শাসনে থাকাকালীন তিনি একাধিকবার ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা আদতে সত্য নয়। যদিও প্রতিটি জেলবন্দি ব্যক্তিরই ক্ষমা প্রার্থনার অধিকার থাকে। তবে সাভারকার কোনওভাবেই ব্রিটিশদের কাছে মাথানত করতে চাননি। শুধুমাত্র গান্ধীজীর নির্দেশে তিনি ইংরেজদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা চেয়ে ছিলেন। তারপর মুচলেকা দিয়ে আন্দামানের সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পান। শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা আন্দোলন চালানোর জন্য গান্ধীজীর নির্দেশ অমান্য করতে পারেননি সাভারকার।” অর্থাৎ, সাভারকারের মুক্তির পেছনে গান্ধীর হাত ছিল বলেই দাবি করেন রাজনাথ। আর এই মন্তব্যে গান্ধী-সাভারকার বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মার্কস ও লেনিনের আদর্শে বিশ্বাসী মানুষেরা সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলে অভিযোগ করেন। তা সম্পূর্ণ ভুল। আসলে দেশের বামেদেরকে আক্রমণ করতেই জেনে-বুঝে রাজনাথ এমন মন্তব্য করেছেন। তা নিয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: সাভারকরকে মুচলেকা দিতে বলেছিলেন কে ? রাজনাথের বক্তব্যের যুক্তি খুঁজছে ইতিহাস
এবার তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শোনা গেল সূর্যকান্তের গলায়। দেশের রাজনীতিতে যতই শূন্যের কোঠায় আসতে থাকুক মার্কস-লেনিন প্রসঙ্গ উঠতেই গান্ধী -সাভারকার বিতর্কের মঞ্চে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় সিপিএম। তবে বঙ্গ বাম ব্রিগেডের হাত ধরেই সেই সুরের প্রকাশ পেল?