গোটা বিশ্ব জানে দেহ দানের কথা। তা বলে, ব্রেন বা মস্তিস্ক দান! এক বিরল ভাবনা। তাই ভাবলেন, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী রাগবি খেলোয়াড় স্টিভ থম্পসন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিজের মাথার ব্রেন বা মস্তিষ্ক দান করেছেন তিনি। ৪২ বছর বয়সী থম্পসন স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়া রোগে ভুগেন। রাগবি খেলোয়াড়দের নাকি এই ধরনের রোগে ভোগার সম্ভাবনা খুবই বেশি দেখা যায় ।
আরও পড়ুন: পোলিওকে হার মানিয়ে সোনার ছেলে প্রমোদ, ব্রোঞ্জ মনোজের
থম্পসনসহ মোট নয়জন রাগবি খেলোয়াড় গত বছর বিশ্ব রাগবি ফেডারেশনকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। তাতে তাঁরা রাগবি ফেডারেশনকে অভিযুক্ত করেন যে তাঁরা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংস্থা ব্যর্থ। যার ফলে অনেককে স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগতে হয়েছে বা এখনও ভুগতে হয়।
থম্পসন তাঁর মস্তিষ্কটি দান করেছেন ‘দি কানকাশন লিগাসি প্রজেক্ট’ এর ‘ব্রেন ব্যাঙ্কে’, যারা জেফ অ্যাশলে ফাউন্ডেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রাক্তন রাগবি খেলোয়াড় জেফ অ্যাশলের নামে। যিনি ২০০২ সালে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম রোগে ভুগে মারা যান।
জানা গেছে,‘দি কানকাশন লিগাসি’ প্রজেক্ট নামের সংগঠনটি থম্পসনের ব্রেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। তাঁর মৃত্যুর পর ব্রেনটি এই সংগঠনের কাছে দিয়ে দেওয়া হবে।এরপর গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হবে খেলোয়াড়দের মধ্যে এই রোগের প্রভাব কতোটা।
Ex-England #rugby player, @Tommo33s, pledges brain to #concussion initiative with @ConcussionLF partnershiphttps://t.co/NSaaI9hjro#SportsLaw pic.twitter.com/cX0wJY3hpH
— Mackrell.Solicitors Sport (@MackrellSport) September 24, 2021
থম্পসন ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রাগবি দলের হয়ে খেলেছেন। ২০০৩ সালে ব্রিটিশ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। কিন্তু গত বছরই জানান, তিনি ২০০৩ সালে যে বিশ্ব জয় করেছিলেন তার কিছুই মনে করতে পারছেন না। থম্পসন এক সাক্ষাৎকারে জানান-পরবর্তী প্রজন্মের রাগবি খেলোয়াড়রা যেন তাঁর মত এমন অবস্থায় না পরেন। এবং রাগবিকে আরও নিরাপদ এ্ক খেলার রূপ দিতে তিনি নিজের ব্রেন দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সকলেই জানেন, রাগবি হলো বিশ্বের বিপদজনক খেলাগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ধস্তাধস্তি করেন। যার ফলে প্রায়ই তাঁরা মাথায় আঘাত পান।
ছবি:সৌ-টুইটার।