মানাগুয়া: মধ্য আমেরিকার স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিকারাগুয়া। সেখানের রাজধানী মানাগুয়া শহর থেকে দক্ষিণে ২০ কিলোমিটার দূরে মাসায়া শহরের জাতীয় চিড়িয়াখানার(National Zoo) জন্ম নিয়েছে বেঙ্গল টাইগার(Bengal Tiger)। যার শিকড় রয়েছে বাংলার সুন্দরবনে। অর্থাৎ সুন্দরবনের দ্যা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার(Royal Bengal Tiger) নিজের ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছে আটল্যান্টিক সাগরের ওপারে।
কলকাতা থেকে মাসায়া শহরের দূরত্ব প্রায় ১৬ হাজার ১১৭ কিলোমিটার। সেই দূর দেশে ছাপ পড়েছে বাংলার বাঘের। তাও এবার একটি নয়। একই সঙ্গে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে ডালিলা নামক একটি মা বাঘ। বাঘের প্রজাতি বিপন্ন। যাদের বাঁচাতে নানাবিধ প্রয়াস নিয়েছে ভারত সরকার। সুফল মিলেছে। তবুও সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিপন্ন প্রজাতির বলেই মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- ‘পুলিশ ডে’-তেই এল সুখবর! মার্কিন মুলুকে প্রশংসিত লালবাজারের ‘শবর পিতা’
সেই বিপন্ন প্রজাতির বাঘের চার সন্তানের জন্ম দিয়েছে ডালিলা। নিকারাগুয়ার জাতীয় চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া চার শাবক বাঘেদের এখনও নাম ঠিক হয়নি। এমনই জানিয়েছেন সাকাসা নামক ওই চিড়িয়াখানার এক কর্মী। নবজাতক বাঘেদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। যার মাধ্যমে এই প্রজাতির আরও জন্মগ্রহণ করতে পারে বলে আশাবাদী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা চলছে নবজাতকের
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে চার সন্তানের জন্ম দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মা ডালিলা। সেই কারণে তার সন্তানদের যত্ন নিতে হচ্ছে চিড়িয়াখানার কর্মীদের। মায়ের দুধ না পেলেও অন্য পশুর দুধ খাওয়ানো হচ্ছে ছোট্ট বাঘগুলিকে। সাকাসা বলেছেন, “আমরা শাবক বাঘগুলির যত্ন নিচ্ছি যাতে তারা বেঁচে থাকে। এখন ওদের জন্য একটা খুব কঠিন সময়। তারা প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষার জন্য কোন কোলস্ট্রাম পায়নি।”
আরও পড়ুন- মৌলিক অধিকার দিয়ে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার প্রস্তাব আদালতের
জন্ম নেওয়া মহিলা বাঘের যত্নের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সাকাসা। ঘন দুধের মাধ্যমে জীবনের প্রাথমিক পুষ্টি স্তন্যযপায়ী প্রাণীরা মায়ে দুধেই পেয়ে থাকে। তার থেকে ওই শাবকেরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
মহিলা শাবক বাঘকে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে
সাকাসা আরও জানিয়েছেন যে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ডালিলা দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। যাগুলি ছিল সাদা বাঘ। যাদের বলা হয় নিভ বা তুষার। অনেক যত্ন করার পরেও ওই শাবকগুলি মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই প্রাণ হারায়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।