পূর্ব বর্ধমান : স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে লাথি মেরে পালিয়ে গেল খুনের মামলার আসামি। জীবনের বাজি রেখে আসামিকে ধরেলেন সিভিক ভলেন্টিয়ারক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাতারে ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে শাশুড়িকে খুনের দায়ে ধৃতকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মঙ্গলবার। গিয়ে পুলিশকে লাথি মেরে পালিয়ে যায় ওই আসামী। আজ এই ঘটনা ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রায় 2 ঘন্টা পর ভাতার থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ধরে ফেলে ওই আসামীকে।
আরও পড়ুন- ‘যুব সংকল্প যাত্রা’র শুরুতেই গ্রেফতার বিজেপির একাধিক বিধায়ক
গত সপ্তাহে ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে লীলা আগরওয়াল (৪৪) নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে বোঝা যায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মৃতার জামাই ২৭ বছর বয়সি প্রসেনজিৎ দলুইকে। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলার পর পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই আসামিকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। আসামীর সঙ্গে ছিলেন নরেশ সোনার ও ভাস্কর ঘোষ নামে দুই পুলিশকর্মী। এছাড়াও ছিলেন মিঠুন চন্দ্র সাঁতরা নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আরও পড়ুন – টালিগঞ্জে পুলিশের হাতে পাকড়াও ‘পুলিশ’
স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষ করে আসামিকে গাড়িতে তোলার সময় পুলিশকর্মী নরেশ সোনারকে জোরে একটা লাথি মেরে পালায় অভিযুক্ত। কাঁটার গ্রামের ভিতর দিয়ে ছুটে পালাতে থাকে আসামী। পুলিশও তাড়া করে ওই ব্যক্তিকে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর কাঁটারি গ্রাম পেড়িয়ে ফাঁকা মাঠে একটি পোলট্রি ফার্মের কাছে সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরার হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- কুম্ভ থেকে ছড়িয়েছিল করোনা, রিপোর্ট দিয়ে বিপাকে পুলিশ আধিকারিকরা
জীবনের বাজি রেখে ওই আসামীকে ধরতে গেলে জোরে নখ দিয়ে আঁচড় বসায় সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরার হাতে।ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে আঘাত লাগে। তাঁকে চিকিৎসা করার জন্য পাঠানো হয়েছে ভাতার ব্লক হাসপাতালে।
ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই আসামীর বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে একটি কেস করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।