গুয়াহাটি: হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। গরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা। সেই আবেগকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে নাকি ব্যবহার করতে চায় বিজেপি। আর গরু নিয়ে কড়া আইন নিয়ে এল বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে গোহত্যা নিষিদ্ধ অসমে
শুক্রবার অসমের বিধানসভার পাস হয়েছে গোহত্যা রোধক বিল। যেখানে গোহত্যা এবং গোমাংস বিক্রিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোহত্যা বা গোমাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ। ১৪ বছরের বেশি এবং অক্ষম গরু জবাই করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও প্রশাসনের অনুমতি লাগবে।
আরও পড়ুন- অতিমারি আইন ভেঙে ত্রিপুরায় প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির, কটাক্ষ তৃণমূলের
এর বাইরেও গরু নিয়ে জারি করা হয়েছে কড়া নিয়ম। যেখানে বলা হয়েছে যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া যাবে না গরু। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে ব্যবহারের প্রয়োজন হলেও অন্য জেলা থেকে গরু নিয়ে আসা যাবে না। একান্ত প্রয়োজন থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলার ভেতেরনারি অফিসারের অনুমতি লাগবে। অন্যথায় গরু নিয়ে অন্য জেলায় যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে উদ্ধার বিপুল চীনা অস্ত্র, সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য বাহিনীর
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস পরিচালিত সরকার যে আইন করেছিল সেটাই একটু রদবদল করা হয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যাবে না। মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোহত্যা বা গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সী কাজে অক্ষম পশু জবাই করা যাবে। তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ভেটেরনারি অফিসারের অনুমতি লাগবে।”
এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অসমের বিরোধী রাজনৈতিক দল। বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করা হয়। তা খারিজ হয়ে যাওয়াতে বিধানসভা ওয়াক আউট করেন বিরোধী বিধায়কের। তাঁদের দাবি, ‘এই বিলের কারণে অসমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে। গোষ্ঠী সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাবে।’
আরও পড়ুন- আর মাত্র ৫০ কিলোমিটার, কাবুলের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে তালিবান