শ্রীনগর: গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েই আগাম সতর্ক হয়েছিল পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। সেই অনুযায়ী অভিযানে নেমেছে জওয়ানেরা। একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র। এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে একাধিক জঙ্গিকে। এরই মাঝে শুক্রবারে সন্ত্রাসবাদ দমনে বড় সাফল্য পেল বাহিনী।
আরও পড়ুন- সজল ঘোষের গ্রেফতারিতে শুরু তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা
কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। যেগুলি চীনের মাটিতে তৈরি হয়েছিল। কাশ্মীরের মাটিতে সেগুলি এসেছিল পাকিস্তানের মাধ্যমে। এমনই মনে করছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা। একটি প্রাচীন প্রকৃতিক হিমবাহের মধ্যে লুকিয়ে রাখাছিল ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। সেই সঙ্গে ছিল বেশ কিছু বিস্ফোরক।
আরও পড়ুন- আর মাত্র ৫০ কিলোমিটার, কাবুলের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে তালিবান
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে যে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করে। কাশ্মীরের ডোডা জেলায় সারোলা গ্রামের জঙ্গলে অভিযান শুরু হয়। সেখান থেকে চীনা পিস্তল, বরো রাইফেল, দেশী বন্দুক, বহু চীনা গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছি সেনাবাহিনী।
স্বাধীনতা দিবসের আগে হতে পারে জঙ্গি হানা। এমনই সতর্ক বার্তা দিয়েছে গোয়েন্দারা। যা নিয়ে তটস্থ পুলিশ এবং প্রশাসন। এরই মাঝে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হল কাশ্মীরের জঙ্গলে। যা ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। এর আগে বুধবার বিকেলের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক দিলবাগ সিং।
আরও পড়ুন- পরকীয়ার জেরে জামাইয়ের হতে খুন শাশুড়ি, চাঞ্চল্য ভাতারে
পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কাশ্মীর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। কুপওয়াড়ার কারনা সেক্টরের তাড গ্রামের হাজিত্রা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫টি গ্রেনেড, তিনটি ডিটোনেটর, পাঁচটি পিস্তল এবং বেশ কিছু অস্ত্র। সেই সঙ্গে এক প্যাকেট গেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্তের খুব কাছের গ্রাম থেকে এই সকল সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের যোগ খুব জোরাল হয়েছে।