পিংলা: বাংলার বিখ্যাত পটশিল্পের অন্যতম পীঠস্থান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা’র অন্তর্গত নয়া। পিংলার এই পটচিত্র বা পটশিল্প জেলার ঐতিহ্যরূপে ইতিমধ্যে দেশ ও বিদেশে প্রশংসিত। শিল্পীদের এই কর্মকাণ্ডকে সারা বিশ্বের কাছে মেলে ধরতে এবার ২৬০ জন শিল্পীকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘বাংলার বৃহত্তর পটচিত্রের কর্মশালা’র। এখানে প্রদর্শনীর পাশাপাশি পটশিল্পকে হাতে ধরে শেখানো হবে। এই কর্মশালার উদ্যোক্তা ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। কর্মশালা চলবে ৮ ই অগস্ট থেকে ১৪ ই অগস্ট পর্যন্ত। রবিবার এই কর্মশালা ও প্রদর্শনী’র উদ্বোধন করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের আনা হল কলকাতায়
পিংলার এই নয়া গ্রামে পটশিল্পের কারুকার্য দেখতে কিংবা সংগ্রহ করতে প্রতি বছর দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্রহীরা পৌঁছে যান। তবে, শিল্পীদের কিংবা এই গ্রামের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের বিশেষ উন্নতি হয়নি আজও। এই গ্রাম পরিচিত চিত্রকরদের গ্রাম নামে। গ্রামের সকলের পদবি চিত্রকর। একমাত্র আয়ের রাস্তা পটশিল্প। করোনার জন্য শিল্পীদের রোজগারপাতি নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে, গ্রামের শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এই কর্মশালার।
আরও পড়ুন: জলমগ্ন চাষের জমি, হামেশাই দেখা মিলছে কালকেউটে, কিং কোবরার
এই কর্মশালার স্থানীয় আহ্বায়ক বাহাদুর চিত্রকর জানিয়েছেন, ভারত সরকারের উদ্যোগে পিংলার পটচিত্র শিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও এই শিল্প’কে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই এই কর্মশালার আয়োজন। ‘পটচিত্র এখন শুধুমাত্র পটের উপরেই সীমাবদ্ধ নয়, বিভিন্ন সামগ্রীতে পটচিত্র দেখা যাচ্ছে। ফলে আরও আকর্ষণীয় হয়েছে। ৬ দিন ধরে নয়া গ্রামে আয়োজিত প্রদর্শনী’তে পটচিত্রের মাধ্যমে পুরা কাহিনী ও বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন আগ্রহীরা। ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নয়া গ্রামে একটি পটচিত্রের প্রবেশদ্বার বানানো হবে এবং একই সঙ্গে নয়া গ্রামটিকে পর্যটনস্থল হিসেবে তুলে ধরা হবে।