কলকাতা: সন্দেশখালি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের (CBI Inestigation Sandeshkhali case) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই মামলায় সিবিআই-কে সিট গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তে সব ধরনের সাহায্য করবে রাজ্য পুলিশ। বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ বা ইনফরমেশন থাকলে তা সিবিআইকে জানাতে পারবে। কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে সিবিআই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্ত করবে। আদালতের এই নির্দেশে মুখ পুড়ল রাজ্যের।
আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, সন্দেশখালি ঘটনার তদন্তে স্থানীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না।আদালতের নির্দেশ, সন্দেশখালিতে ধর্ষণ থেকে শুরু করে জমি দখল, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার-সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। আর সিবিআইকে রাজ্য সরকারের তরফে রকম সহযোগীতা করতে হবে। আদালত বলেছে, তাদের নজরদারিতে চলবে সিবিআই তদন্ত। সেখানকার ভুক্তভোগি মানুষ সিবিআইকে সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবে। আদালতের আরও নির্দেশ, সন্দেশখালির সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় ১৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি বসাতে হবে, বসাতে হবে এলইডি আলোও। সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: শাহি বার্তায় বাংলায় বিজেপির আসনের টার্গেট কমল ৩৫ থেকে ৩০-এ
মামলাকারীদের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, প্রাক্তন বিচারপতিকে দিয়ে কমিশন গড়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আর্জির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আমাদের মনে হয় এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করুক। সিবিআই এই মামলায় ইতিমধ্যেই যুক্ত, তাই তারাই তদন্ত করতে পারবে। আদালতের নির্দেশ, যেকোনও পদমর্যাদার যেকোন ব্যক্তিকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠাতে পারবে সিবিআই। ২ মে পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই রিপোর্ট দেবে সিবিআই।
অন্য খবর দেখুন