কলকাতা: রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে কংগ্রেসে থাকাকালীন ওই সংগঠনের যুব শাখার রাজ্য সভাপতি ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তারপরে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিও হয়েছিলেন। এক বছর আগে বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি হন তিনি। সিপিএম ছাড়া রাজ্যের প্রধান সকল রাজনৈতিক দলের যুব সভাপতি হয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠল সংগঠনের অন্দরে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ।
আরও পড়ুন- দেবাঞ্জনের ভ্যাকসিনে মিলল অ্যামিকাসিনের প্রমাণ, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর
এই মর্মে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ করেছেন যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেখানে সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে একগুচ্ছ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তাহলে কী তৃণমূলে আসছেন অভিনেতা ?
মূল অভিযোগ হচ্ছে সংগঠনের অন্দরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন সৌমিত্র খাঁ। যুবমোর্চার সংগঠনের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে নতুনদের প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে। যারা মাত্র দুই মাস আগে দলে যোগ দিয়েছেন তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে পুরনোদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন সৌমিত্র। সেই সঙ্গে অনেক কমিটি থেকে পুরনোদের বাদ দেওয়া হচ্ছে আচমকা। কখনও আবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরনো কর্মীদের।
আরও পড়ুন- প্রতারণার জোরাল প্রমাণ দিল তৃণমূল, বেজায় বিপাকে মন্ত্রী জন বার্লা
এছাড়াও রয়েছে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সরাসরি ফোন করে একাধিক কর্মীদের হুমকিও দিয়েছেন বিজেপির যুবনেতা সৌমিত্র খাঁ। গোপন মেসেজের স্ক্রিণশট ফাঁস করে দিয়েছেন। এই সকল কাজ সংগঠনের সংবিধান বিরোধী। সেই কারণে অবিলম্বে যাতে যুবমোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যরা।
সাম্প্রতিককালে ওই সংগঠনের সহ-সভাপতি রাজু সরকার প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছিল যে রাজ্য দফতরে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বচসার জেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাজু। সেই ঘটনার জন্যেও সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিযোগকারীরা।