কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে নয়া মোড়। ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের প্রয়োগ করা ভ্যাকসিনে ছিল অ্যামিকাসিন। শুক্রবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো। সেই রিপোর্টে বলা হয়, দেবাঞ্জন দেবের প্রয়োগ করা ভ্যাকসিনে কোনও কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাকসিন ছিল না। এমনকী রুশ নির্মিত ভ্যাকসিন স্পুটনিকও নয়। তাঁদের কাছে পাঠানো ভায়ালস টেস্ট করে সেখানে অ্যামিকাসিনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
কী এই অ্যামিকাসিন? অ্যামিকাসিন একধরনের বিষাক্ত অ্যান্টিবায়োটিক। যার প্রয়োগে মানবদেহে কিডনির ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া ও পারকিন্সসন্সের মতো স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: এনআইয়ের নাম করে ঘুষ নিতে গিয়ে পুলিশি জালে ফেক আইপিএস
গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় কসবায় একটি ভ্যাকসিন শিবিরের আয়োজন করেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। সেখানে তাঁর আমন্ত্রণেই ভ্যাকসিন নিতে যান তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট না পাওয়াতেই সন্দেহ হয় সাংসদের। অভিযোগ জানান পুলিশে। অভিযোগের ভিত্তিতে জুনের শেষেই গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জনকে।
আরও পড়ুন: প্রতারণার জোরাল প্রমাণ দিল তৃণমূল, বেজায় বিপাকে মন্ত্রী জন বার্লা
তারপর গত ২৫ জুন ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে আসল পরিচয় বেড়িয়ে আসে ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জনের। তদন্তে উঠে আসে, শহরের একাধিক জায়গায় এই ধরনের ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবিরের আয়োজন করেছিলেন দেবাঞ্জন। তল্লাসি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর ভ্যাকসিনের ভায়ালস। সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানও হয় রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোতে।
ঘটনাটি সামনে আসতেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ভুয়ো ভ্যাকসিনকে ইস্যু করে রাজ্যকে কোনঠাসা করতে উঠে পড়ে লাগে পদ্মশিবির। সেইসময় ভ্যাকসিনের পরিবর্তে অ্যামিকাসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি জানায় বিজেপি। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টও।