কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri College) অশান্তির ঘটনায় চারু মার্কেট থানার (Charu Market Police Station) ওসিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাঁকে দ্রুত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে বুধবার ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেঠিল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ (Jogesh Chandra Chaudhuri College)। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের রং মাখানো, গায়ে জল দেওয়া হয়েছে। এমনকী ক্যাম্পাসে আসা সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এক পড়ুয়া কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারী আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, বুধবার হোলি খেলার নামে বহিরাগতরা তান্ডব চালিয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। রঙের জলে লঙ্কা গুরো জিরে গুড়ো মিশিয়ে লোকজন এর সঙ্গে অসভ্যতা করা হয়েছে। আদালতের কাছে মামলাকারীর আর্জি ছিল,পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মী রাখতে হবে। একই সঙ্গে, বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিতে হবে আদালতকে। বৃহস্পতিবার এজলাসে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর চারু মার্কেট থানার ওসিকে তলব করেন।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাদের উদ্যেশ্য কি ছিল? আইনজীবী বলেন, এর আগে সরস্বতী পুজো নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল বহিরাগতদের জন্য। ডে কলেজের এক্স স্টুডেন্টরা চলে আসছে। একজন ডে কলেজের প্রাক্তন স্টুডেন্ট, সে ২০০৯ সালে কলেজে ভর্তি হয়। সে নিজের প্রচুর পড়াশোনা করে প্রচুর কোর্স করে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে পাশ করে বেরোয়। বিচারপতি বলেন, পাস আউট মানে তো আউট সাইডার? উত্তরে আইনজীবী জানান,একেবারেই আইউ সাইডার। কিছু ভিডিও আছে যেগুলো আমরা দেখাতে চাই।
আরও পড়ুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির
বিচারপতি ভিডিও দেখার পর বলেন, এই ছেলেটি কে? আইনজীবী অর্ক বলেন, এই ছেলেটির নাম তন্ময় দে। জলের মধ্যে রঙ লঙ্কা গুরো মিশিয়ে সকলের গায়ে ছোড়া হয়েছে। এমনকি, মিডিয়ার লোকজন কেও ছাড়া হয়নি। পুরো টার পেছনে “সাবির বাহিনীর নাম” উঠে আসছে। ল কলেজের আইনজীবী, যা অভিযোগ সব ডে কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। আমাদের তবুও দ্বায় থেকে যায়। তবে ১১ টার পরে আমাদের ল কলেজের কেউ সেখানে থাকে না।ডে কলেজের আইনজীবী বলেন, আমরা বহুবার স্থানীয় থানাকে জানিয়েছি। তবে জানিনা,কেন থানা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। পার্থ রায় বর্মন, সাবির আহমেদের আইনজীবী বলেন,আমি একটা রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক। প্রতি কলেজেই তার ঢোকার অধিকার রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার দেখতেই তিনি কলেজে প্রবেশ করেছিলেন।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পাল্টা বলেন, স্টুডেন্টরা নিরাপত্তা হীনতায় যাতে না ভোগে সেটা আপনাদের দেখা প্রয়োজন। ছাত্ররা যেখানে অসুরক্ষিত বোধ করছেন সেখানে আদালতকে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ যদি আপনার নাম নিয়ে অবৈধ কাজ করে তাকে বের করে দিন। এটা চলতে পারে না। আমি চারু মার্কেট থানার ওসির কাছ থেকে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে তারপর এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবো।
অন্য খবর দেখুন