নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জার্সিতে ‘ইন্ডিয়া’ নয়, লেখা থাকুক ‘ভারত’, এই মর্মে বিসিসিআইয়ের (BCCI) কাছে আবেদন করেছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag)। অতি সম্প্রতি জি২০-র অভ্যাগতদের আমন্ত্রণপত্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) পদ ইংরেজিতে লেখা হয় ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। ভারত বনাম ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় রাজনীতির অন্যতম ইস্যু। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের নাম সরকারিভাবে ‘ভারত’ করা বিজেপির (BJP) নতুন হাতিয়ার। প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা জার্সিতে ভারত লেখার আর্জি জানানোয় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি রাজনীতিতে ঝুঁকছেন তিনি।
সেওয়াগের টুইটের উত্তরে এক ব্যক্তি কোনও রাখঢাক না করেই লেখেন, “আমার সবসময়েই মনে হয়েছে, গৌতম গম্ভীরের আগে আপনার সাংসদ হওয়া উচিত ছিল।” দেরি না করে জবাব দিয়েছেন নজফগড়ের নবাব। তিনি লেখেন, “আমি আদৌ রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নই। শেষ দুই নির্বাচনে দুটো বড় পার্টি আমায় নিতে চেয়েছিল। আমার মতে এন্টারটেনার এবং স্পোর্টসম্যানদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়। কারণ ওখানে বেশিরভাগ লোকই ক্ষমতা দখলের নিজস্ব ইগো এবং খিদে নিয়ে আসে, মানুষের জন্য সত্যিকারের সময় দেয় খুব কমই। ব্যতিক্রম আছে কিন্তু তা খুবই কম।”
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের পাশে দাঁড়ান, বার্তা দিলেন বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া অশ্বিন
এখানেই থামেননি বীরু। তিনি এও বলেন, “আমি ক্রিকেট এবং ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে ভালোবাসি কিন্তু যখন সময়-সুযোগ পাব তখন সাংসদগিরি করার ইচ্ছে আমার একেবারেই নেই।” এই উক্তির মাধ্যমে কি এককালের ওপেনিং পার্টনার গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) কটাক্ষ করলেন সেওয়াগ? সারা বছর ক্রিকেটের সঙ্গেই যুক্ত থাকেন গম্ভীর। কিন্তু জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের কারণে পরবর্তী আইপিএলে থাকবেন না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ১.৪৯-এ টুইট করে সেওয়াগ লেখেন, আমি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, নাম এমন হওয়া উচিত যা আমাদের মধ্যে গর্বের সঞ্চার করে। আমরা ভারতীয়, ইন্ডিয়া ব্রিটিশদের দেওয়া নাম। সরকারিভাবে আসল নাম ভারত করার দরকার ছিল অনেক আগেই। আমি বিসিসিআই এবং জয় শাহের (Jay Shah) কাছে আর্জি জানাচ্ছি, বিশ্বকাপে যেন আমাদের খেলোয়াড়দের বুকে ভারত লেখা থাকে।