ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন ফুটবলার তরুণ বসু এবং ক্রিকেটার অরূপ ভট্টাচার্য। বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান পচ্ছেন ক্লেটন সিলভা এবং নাওরম মহেশ সিং। সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার পাচ্ছেন অরুণ সেনগুপ্ত এবং ক্রীড়া ভাষ্যকার প্রদীপ রায়। তবে ভারত গৌরব সম্মান কে পাবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে তা ঠিক হবে। আগামি পয়লা আগস্ট ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এই পুরস্কৃতদের সম্মান জানানো হবে।
ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের জীবনকৃতি সম্মান খুবই গর্বের একটি পুরস্কার। এই বছর তা পাবেন সত্তর দশকের কিংবদন্তী গোলকিপার তরুণ বসু। খুব বেশি দিন তিনি ইস্ট বেঙ্গলে খেলেননি। ১৯৭৫ এবং ১৯৭৬ সালে খেলেছিলেন লাল হলুদের জার্সি গায়ে। পঁচাত্তরে ইস্ট বেঙ্গলের যে দলটি আই এফ এ শিল্ড ফাইনালে মো্নবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল সেই টিমে লাল হলুদ বারের নীচে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণ বসু। পরের বছরও তিনি ছিলেন লাল হলুদে। কিন্তু পুজোর পর বোকারোয় একটি প্রদর্শনী টুর্নামেন্টে ইস্ট বেঙ্গলের হারের পর চারজন ফুটবলারকে সাসপেন্ড করে লাল হলুদ ক্লাব। সুধীর কর্মকার, গৌতম সরকার, অশোকলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তরুণ বসুও সাসপেন্ড হন। পরের বছর তিনি চলে যান মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। অবশ্য ১৯৭৮ সালে আবার ফিরে আসেন ইস্ট বেঙ্গলে। ছিলেন পরের বছরেও। ১৯৮০-তে খিদিরপুর ছিল তাঁর শেষ ক্লাব। তার পর তিনি অবসর নেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪–টানা চার বছর তিনি খেলেছেন মোহনবাগানে। সত্তর দশকের সেরা গোলকিপারকেই এই বছর জীবনকৃতি সম্মান দিচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল।
এই বছর ইস্ট বেঙ্গলের পুরস্কারের পরিধি ভারতের বাইরে বাংলাদেশেও পৌছচ্ছে। ১৯৯১ সালে ইস্ট বেঙ্গলে খেলতে এসেছিলেন মহম্মদ মোনেম মুন্না, রুমি এবং শেখ মহম্ম্দ আসলাম। সেই বছর ইস্ট বেঙ্গল কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই ত্রয়ীর অবদান ছিল প্রচুর। সেই তিনজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তবে মুম্না প্রয়াত। তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মান। রুমি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি আসতে পারবেন না। তবে আসলাম আসবেন। এদের সঙ্গে সংবর্থিত হবেন গোলাম গাউসও।