দিল্লি: আদালতের কাছে তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছিল দিল্লি পুলিস৷ কিন্তু জামিন পেয়ে গেলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজের অধ্যাপক রতন লাল৷ জ্ঞানবাপী মসজিদের ঘটনাক্রম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস৷ শনিবার অধ্যাপককে পেশ করা হয় আদালতে৷ দিল্লি পুলিস রতন লালের জামিনের বিরোধিতা করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করে৷ আদালতকে পুলিস জানায়, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ কিন্তু আদালত রতন লালকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি দেয়৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্মীয় হিংসা ছড়ানোর কোনও ইঙ্গিত ওই পোস্টে নেই৷
রতন লালের আইনজীবী এই গ্রেফতারিকে ‘আইনের অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেন৷ তাঁর কড়া মন্তব্য, এভাবে তো জেলগুলি বুদ্ধিজীবীতে ভরে যাবে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য এফআইআর করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ উল্টোদিকে দিল্লি পুলিস জামিনের বিরোধিতা করে জানায়, রতন লাল জামিন পেলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে৷ অনেকে এই ধরণের ইস্যুতে পোস্ট করার উৎসাহ পাবেন৷ দীর্ঘ শুনানির পর আদালত রতন লালের জামিন মঞ্জুর করে৷
ইতিহাসের অধ্যাপক রতন লালের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী বিনীত জিন্দল৷ তাঁর অভিযোগ, শিবলিঙ্গ নিয়ে তিনি আপত্তিজনক, উস্কানিমূলক টুইট করেছিলেন৷ অধ্যাপনার পাশাপাশি রতন লাল আম্বেদরকনামা নামে একটি নিউজ পোর্টালের এডিটর৷ সেখানে তিনি দলিত ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর রতন লাল বলেছিলেন, ‘ভারতে কোনও কিছু নিয়ে মন্তব্য করা হলে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগবেই৷ এটা নতুন কিছু নয়৷ ইতিহাসবিদ হিসেবে নিজের পর্যবেক্ষণ সামনে রেখেছিলাম৷’
আরও পড়ুন: Ramban tunnel: জম্মুর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার চারজনের মৃতদেহ, নিখোঁজ ছয় শ্রমিক