মেদিনীপুর: বালি বোঝাই লরির বেপরোয়া গতির পাশাপাশি পথকুকুরের দৌরাত্ম্যের কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। ঘটনা মেদিনীপুর শহরের। বালির গাড়ির তাণ্ডব এবং কুকুরের দৌরাত্ম্য নিয়ে ক্ষুব্ধ মেদিনীপুরের পুরপ্রধান।
পুলিস জানায়, সোমবার গভীর রাতে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি থেকে বাইক নিয়ে অলিগঞ্জ এলাকার নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন শেখ হাশমত নামে এক যুবক। জগন্নাথ মন্দিরের কাছে বেশকিছু কুকুর হাশমতকে তাড়া করে। কুকুরের তাড়া খেয়ে ভয়ে বাইকের গতি বাড়িয়ে দেন তিনি। সেই সময় মেন রোডে উঠতেই মেদিনীপুর শহরের ভিতর থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি দশ চাকার লরি তাঁকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘাতক ওই লরিটি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালাতে গিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে আরও এক পথচারীকে পিষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষ জানান, লরিটি বেআইনিভাবে বালি পাচার করছিল।
আরও পড়ুন: Monteswar: মন্তেশ্বরে পরিচারিকার গলা কেটে খুন, আটক মহিলা
ধেরুয়া থেকে বালি ভর্তি করে মেদিনীপুর শহরের ভিতরে বেপরোয়া লরির এই দৌরাত্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরের বাসিন্দারা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, পুলিস প্রশাসনের উদাসীনতায় বেপরোয়া অবৈধ লরির যাতায়াত শহরকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এর পিছনে পরোক্ষ মদত রয়েছে পুলিস প্রশাসনের। অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত।
তবে বেপরোয়া লরির দৌরাত্ম্য ছাড়াও পথকুকুরদের দৌরাত্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, মেদিনীপুর শহরের লরিগুলির দৌরাত্ম্য বন্ধ হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে গভীর রাতেও চিকিৎসার প্রয়োজনেও মানুষ বের হয়। তারা এই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। সেইসঙ্গে মেদিনীপুর শহরে প্রচুর পথকুকুরের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। বহুবার তাদের আক্রমণের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন মানুষ। এই দুই বিষয়ে যাতে বন্ধ হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Jangalmahal: জঙ্গলমহলের অনেক তৃণমূল নেতা নিরাপত্তারক্ষী চাইছেন, মাওবাদী আতঙ্ক বাড়ছে কি, উঠছে প্রশ্ন