আমার প্রিয় সহনাগরিকবৃন্দ, আজ শুরুতেই একটা প্রশ্ন। আপনারা ‘তাড়িপার’ কথাটার মানে জানেন? আরিব্বাস, এ তো অনেকেই জানেন। কী বলছেন? ও, অমিত শাহকে দেখার পর থেকেই জানেন, হ্যাঁ আমিও তখন থেকেই জানি। যারা এখনও জানেন না তাঁদের জানাই, তাড়িপার হল আদালতের এক নির্দেশ যাতে আপনাকে বলা হতে পারে যে আপনি এই শহরে বা এই রাজ্যে বা এই অঞ্চলে আপাতত ঢুকতে পারবেন না। আদালত যদি মনে করে যে কোনও মামলায় আপনি এতটাই জড়িত যে এলাকায় থাকলে সাক্ষী, মানুষদের ভয় দেখিয়ে প্রমাণগুলো ভ্যানিশ করে দিতে পারেন, তাহলে আপনাকে এই তাড়িপার-এর নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপর এই তাড়িপারের আদেশ ছিল। তারপর তো কেসই উঠে গেছে, বিচারক সকালে হাঁটতে গিয়ে মারা গিয়েছেন, তদন্ত যিনি করছিলেন, সেই আইপিএস অফিসার আপাতত জেল খাটছেন। প্রমাণ ইত্যাদি তো পরের কথা। না রহা বাঁশ, না বজেগা বাঁশুরি। সে থাক, কে আর ধোয়া তুলসীপাতা বলুন? সংসদের ৪৭ শতাংশ এমপি-র উপরে ক্রিমিনাল কেস আছে, অনেকে তো বলে ক্রিমিনাল না হলে সাংসদই হওয়া যায় না। আমি অবশ্য তা বিশ্বাস করি না, ওসব দুষ্টু লোকের কথা। তো যে কথা বলছিলাম, তাড়িপার থুক্কুড়ি আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক’দিন আগে জ্বালাময়ী ভাষণ, কংগ্রেসই নাকি এই টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সবচেয়ে বড় সদস্য। দেশের প্রত্যেকটা বিরোধী দলই নাকি দেশদ্রোহী। আর কে না জানে দেশ কে গদ্দারোঁ কো…। প্রধানমন্ত্রী একই কথা সংসদেই বলছেন। এই টুকরে টুকরে গ্যাং বিষয়টা কোথা থেকে এল একটু বোঝা যাক। জওহরলাল ইউনিভার্সিটি মানে জেএনইউ-তে এর সূত্রপাত। ২০১৬, ৯ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ একটা ভিডিও সামনে এল সেখানে কিছু ছেলে স্লোগান দিচ্ছে, “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ ইনশাআল্লাহ।” সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। ইউনিভার্সিটিতে এরকম স্লোগান! এবং সেই জমায়েতে নাকি তৎকালীন জেএনইউ সাধারণ সম্পাদক কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ইত্যাদি ছাত্রনেতারা ছিলেন। তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হল। সেই মামলায় প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন। জি নিউজ-এর এক সিনিয়ার প্রোডিউসার পদত্যাগ করেছিলেন এই বলে যে এই ভিডিওটিতে পরবর্তী সময়ে স্লোগানগুলো জোড়া হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট এখনও আসেনি, আসবেও না কোনওদিন। স্বরাষ্ট্র দফতর কী দারুণ তৎপর ভাবুন একবার। সেই থেকে জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির বাম ছাত্র, পরে সারা দেশের বামপন্থীদের, আপাতত সমস্ত বিরোধীদের ওই টুকরে টুকরে গ্যাং বলে ডাকছেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কী আশ্চর্য, তাঁরা ছাড়া সব্বাই দেশদ্রোহী, সব্বাই গদ্দার, আর দেশ কে গদ্দারোঁ কো গোলি মারো শালো কো, একথা তো বলেই রাখা আছে।
এ নিয়ে তিনটে কথা বলা যায়। ১) তাড়াতাড়ি এর বিচারটা সেরে ফেলে শাস্তি দিচ্ছেন না কেন? বিচার করুন শাস্তি দিন, ল্যাটা চুকে যায়। কেন করছেন না? অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদি জানি এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন না।
২) আচ্ছা যখন নাগা বিপ্লবীদের সঙ্গে কথা বলেন, যাঁরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভারত ভাগের কথা বলে, কই তখন তো এই বিষ ঝরাতে দেখি না, সময়ে সময়ে জলঢোঁড়া সাপের মতো নির্বিষ হওয়ার পিছনে কারণ কী? অস্ত্র হাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলা যায়, আর এই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলা যায় না? সেখানে গিয়ে মাথায় পালক গুঁজে মোদিজি ঢোলক বাজাবেন, তখন মনে থাকে না?
৩) প্রবল জাতীয়তাবাদী, প্রবল দেশপ্রেমী বিজেপি এবং তার মাথার ছাতা আরএসএস-এর দেশপ্রেম, দেশকে টুকরো করার ইতিহাসটা একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক। নরেন্দ্রভাই দামোদর দাস মোদি এবং অমিত শাহর কাছে আমার প্রশ্ন, বিজেপি-আরএসএস-এর দেশ স্বাধীন করার ইতিহাসে একজন ও আছে যিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন? একজন? নাম বলুন। বিনায়ক দামোদর সাভারকার, যাঁকে আন্দামানে পাঠানো হয়েছিল, যাওয়া ইস্তক সেখান থেকে তিনি অন্তত ৫টা ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, এই আপনাদের সাকুল্যে দেশপ্রেমের ইতিহাস। ১৯২৫ সালে যে আরএসএস তৈরি হয় তার গুরু গোলওয়ালকর, আপনাদের দর্শন গুরু সাভারকার পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সমর্থন তো দূরের কথা, বিরোধিতা করতে হবে। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছিলেন যে ইংরেজ নয় লড়াই মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তার উত্তরাধিকারী মোদি-শাহ আমাদের দেশপ্রেম শেখাবে? আমরা নেতাজি, ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম, সূর্য সেন, বাঘা যতীন, চন্দ্রশেখর আজাদ, আসফাকুল্লার উত্তরাধিকার বহন করি, আমাদের দেশপ্রেম শেখাবে তারা যারা গান্ধীবুড়ি মাতঙ্গিনি হাজরা যখন রক্তাক্ত কিন্তু হাতে তেরঙা ধরে মাটিতে পড়ে চিৎকার করছেন, ইংরেজ ভারত ছাড়ো, যারা তার বিরোধিতা করেছিল? আপনাদের মুখে দেশপ্রেম আর কসাইয়ের হাতে মুরগি কাটা একই রকম শোনায় দেখায়। ১৯২৩ সাল। সাভারকর লিখছেন, Hindutva: who is a Hindu? প্রথম উঠছে দ্বিজাতি তত্ত্বের কথা, Two Nation Theory, পরিষ্কার বলেছিলেন, হিন্দু আর মুসলমান দুটো আলাদা জাতি, তারা একসঙ্গে থাকতে পারে না। আপনারা সেই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। এই যে আপনাদের blue eyed boy, যোগী, আদিত্যনাথ যোগী বলছেন, একবার নয় বার বার বলেছেন।
হিন্দু আর মুসলিম আলাদা জাতি, দুই জাতি কখনও একসঙ্গে থাকতে পারে না। এই কথা বলার জন্য যার আজীবন কারাবাস হওয়া উচিত সে এখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এবং এই কথা আর কে বলেছেন? মহম্মদ আলি জিন্নাহ, যার জেদের জন্য দেশ ভাগ হল। মতাদর্শের দিক থেকে আপনাদের ভাই বেরাদর। সেই আপনারা টুকরে টুকরে গ্যাং নিয়ে কথা বলেন? সমস্ত বিরোধী অসাম্প্রদায়িক মানুষকে দেশদ্রোহী বলেন? লজ্জা করে না? শিরায় ধমনীতে বিশ্বাসঘাতকতা, দেশদ্রোহিতা নিয়ে দেশপ্রেমের নাটক বন্ধ করুন। ১৯২৫-এ আপনাদের আরএসএস তৈরি হয়েছে, আগে একজন, এক জনকে দেখান যে আপনাদের ঝান্ডা নিয়ে দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, পারবেন না। কারণ একজনও নেই। না, একজনও নেই। আপনারা দেশদ্রোহের উত্তরাধিকারী, দেশ বিভাজনের ষড়যন্ত্রকারী।
এবং নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি, বেশ ক’ বছর আগে গিয়েছিলেন লখনউয়ে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উন্মোচন করতে। উনি মূর্তি খুব ভালবাসেন, উনি জানেন না হীরকরাজার দেশেও মূর্তি ছিল, সে দৃশ্য যদি দেখতেন। সে কথা থাক, উনি বললেন নাগরিকের কিছু কর্তব্যও আছে, দায়িত্বও আছে, সবটাই সরকার করে দেবে না।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | ২০২৪-এ মোদিজি, বিজেপি জিতছেন? ক্ষমতায় আসছেন?
কী ভালো কথা। যোগীজিও হাততালি দিলেন। কর্তব্য আর দায়িত্ব দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আচ্ছা মোদিজি, আপনি যা বলেন সেটা নিজের জন্যও বলেন তো? আসুন দেখি আপনার দায়িত্ব আর কর্তব্য কী রকম হাত ধরাধরি করে চলেছে দেখে নেওয়া যাক।
১) আপনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দাঙ্গা হয়েছিল, জানি সে দাঙ্গায় যে আপনি জড়িত নন সে ক্লিনচিট নানাবতী কমিশন আপনাকে দিয়েছে। না, সারা দেশের মিডিয়া এমনকী আপনার বশংবদ মিডিয়াও সে খবর দেখায়নি। আমরা কি কেউ অমিত শাহ বা আপনার ট্র্যাক রেকর্ড দেখার পরে আশাও করেছিলাম যে নানাবতী কমিশন অন্য কিছু বলবে? কার ঘাড়ে ক’টা মাথা যে বলবে রাজা তুই উলঙ্গ, রাজা তোর কাপড় কোথায়? সে কথা থাক, আপনি দায়ী নন, তাহলে অন্য কারও তো সেই দায় আছে, যেই দায়ী হোক না কেন সেই দাঙ্গায় মানুষ তো মারা গিয়েছিলই, ১ লাখের বেশি ঘর জ্বলেছে, ভেঙেছে ১৫০০০ দোকান, ব্যবসা নষ্ট হয়েছে, ৩০০০ ঠেলাগাড়ি, ৫০০০ গাড়ি, ২৭৩টা দরগা, ২৪১টা মসজিদ নষ্ট হয়েছে ভেঙেছে পুড়েছে। একজনও সাজা পেয়েছে? অত বড় দাঙ্গায়, দাঙ্গা করার জন্য, আগুন লাগাবার জন্য, ষড়যন্ত্র করার জন্য, একজনও? আপনার দায়িত্ব কী ছিল আর কর্তব্য কী ছিল প্রধান সেবক? যোগীজি বলেছেন, যারা সরকারি সম্পত্তি লুঠ করেছে তাদের বদলা নেবেন, শুরুও হয়ে গেছে, তাদের সম্পত্তি ক্রোক করার নোটিস দেওয়া হয়েছে। আপনি কী করেছেন? অত বড় দাঙ্গায় তো আরও বেশি ক্ষতি হয়েছিল তাই না? আপনার দায়িত্বটাই বা তাহলে কী আর কর্তব্যটাই বা কী?
২) ডিমনিটাইজেশন। মনে আছে। মিত্রোঁ…। ব্যস। দেশসুদ্ধ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন। আমরা তারপর থেকে মোদিজি সন্ধেবেলায় টিভিতে কিছু বলবেন জানলে অম্বলের ওষুধ খেয়ে নিজেদের তৈরি রাখি। হল ডিমনিটাইজেশন, আমরা লাইনে দাঁড়ালাম। তারপর বললেন ৫০ দিন সময় চাই। কালো টাকা ধরা পড়বে ইত্যাদি। আর যদি না হয় তাহলে তাঁকে যেন প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারা হয়।
শুনলাম সেই বাওয়াল। তারপর? দায়িত্ব? কর্তব্য? গড়ের মাঠে গেছে ঘাস খেতে? সেই যে মৌনিবাবা সেজেছেন, আর এ নিয়ে কোনও কথা বলেন না। কত কালো টাকা এল, আমাদের জানান। মানুষ এবং অর্থনীতিকে রাস্তায় বসিয়ে আপনার এই নোটবন্দি থেকে কী পাওয়া গেল জানান। এই ব্যাপারে আপনার দায়িত্ব আর কর্তব্য ঠিক কী বলছে? না কি কিছুই বলছে না?
৩) ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া। ঠিক তার আগে যখন মিলিটারি আধা সামরিক বাহিনীকে কাশ্মীর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন আপনি বলেছিলেন, এসব নির্বাচনের জন্য! কেন? মিথ্যে বললেন কেন? কবে হবে সেই নির্বাচন? আপনার দায়িত্ব বা কর্তব্য ঠিক কী বলছে এই বিষয়ে? মানে আদৌ আছে কি আপনার দায়িত্ব বা কর্তব্য?
৪) মহারাষ্ট্রে তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হল, আপনি চাইলেন বলেই হল, তারপর ভোররাতে সেই শাসন তুলে সংখ্যালঘু মন্ত্রিসভা, তারপর মুখে চুনকালি মেখে পদত্যাগ করা। তারপর শিবসেনাকে ভাঙা। তারপর আগের দিনে যাকে চোর বললেন তাকেই দলে নিয়ে সরকার তৈরি করা। আপনার কর্তব্য এবং দায়িত্ব কী বলে? আদৌ কি কিছু বলে?
৫) CAA NRC NPR Detention center নিয়ে ক্রমাগত ক্রমাগত মিথ্যে বলে চলেছেন, মিথ্যে ডাহা মিথ্যে আধা মিথ্যে। একের পর এক। বললেন এনআরসি বলে কিছু আলোচনাই হয়নি, রাষ্ট্রপতির ভাষণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ, স্বরাষ্ট্র দফতরের কাগজ উল্টো কথা বলছে। এখন বলছেন সিএএ লাগু করবেন, তো সেই লাগু করার জন্য রুলবুক লাগে, সেটা না জানার মতো ন্যাকাও তো আপনি নন।
এই ঢালাও মিথ্যে নিয়ে আপনার মহান কর্তব্য বা সুমহান দায়িত্ব কী ছিল প্রধান সেবক মশাই?
৬) জিএসটি। যা নিয়ে প্রধান সেবক হওয়ার আগে আপনি কী বলেছিলেন? বলেছিলেন জিএসটি চালু হলে দেশের অর্থনীতি গাড্ডায় পড়বে। পরে মানে চুমু খেয়ে সংসদে ঢোকার পরে কী করলেন, মধ্যরাতে নেহরু হওয়ার চেষ্টা করলেন। পায়ের জুতোর সাইজ জানেন? সেই জুতোতে পা গলানোর মুরোদ নেই, নেহরুর প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন? শঙ্খধ্বনি দিয়ে জিএসটি চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৩৭৮টা পরিবর্তন করা হয়েছে। ফিনান্স কমিশনের চেয়ারম্যান এম কে সিংহ বলেছেন, যা অবস্থা তাতে এই আইনকে আবার নতুন করে আনা উচিত। আপনার দায়িত্ব কর্তব্য কি কোথাও জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন? যমুনার জলে ভাসছে আপনার দায়িত্ব কর্তব্য?
৭) আর্থিক অবস্থা কোথায় আছে তা কি আপনি জানেন? জানলেও বোঝেন কি? মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে, টাকার দাম দ্রুত পড়ছে, শিল্প ধুঁকছে, চাকরি নেই। আর্থিক বৈষম্য এক নতুন রেকর্ড তৈরি করছে, এসব জানেন? প্রধান সেবক? এবং জানার পর আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য কি ঝালমুড়ি খেতে গেছে?
অবশ্য আপনি ভাষণ ছাড়া আর পারেনই বা কী? মনের কথা একলাই বলেই যাচ্ছেন, বলেই যাচ্ছেন। মানুষকে রোজ রাস্তায় দাঁড় করানোটা আপনার প্রায় হবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং সেই প্রেক্ষিতেই আসছে নির্বাচন, মানুষকে বলব এই কথাগুলো বলুন, জানতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে, তাঁর দায়িত্ব আর কর্তব্যের হিসেব নিকেশ করা হোক।