কলকাতা: গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস আর রবার বুলেট ছুঁড়ছে পুলিশ। একজন লাঠি উচিয়ে তেড়ে এলে সোজা তাঁর বুকে গুলি চালাল পুলিশ। এর পরের দৃশ্য অত্যন্ত মর্মান্তিক। লাঠিধারী পুলিশকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ল গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির উপর। লাথি, কিল, চড়, ঘুষি- সবই চলল। একজন তো আবার দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর উপর। ভাবছেন কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য। একেবারেই তা নয়, এই দৃশ্য বিজেপিশাসিত অসমের।
বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্র হিমন্ত বিশ্বশর্মার অসম। দরং জেলার সিপাঝারে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই গ্রামবাসীর। মৃতরা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী কিনা তা এখনও জানা যায়নি। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে জখম হয়েছেন ১১ জন পুলিশ কর্মী। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের অভিযোগ, দখলদাররা তাদের কাজে বাধা দিচ্ছিল।
https://twitter.com/kavita_krishnan/status/1440999800187408388?s=20
আরও পড়ুন: অসমের নাগরিকত্ব বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগের ভাবনা-চিন্তা দরকার
পুলিশের দাবি, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ যা করার, তাই করেছে। দরং জেলার এসপি সুশান্ত বিশ্বশর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, সিপাইঝারের জবরদখল উচ্ছেদের সময় পুলিশের আত্মরক্ষায় যা করণীয় ছিল, সেটাই করেছে। এসপি সুশান্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ভাই। পুরো ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হিমন্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এর আগে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।
ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস। সিপাইঝারের ঢোলপুর এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমি অবৈধ জবরদখল হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢোলপুর ৩ নম্বর এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করতে অভিযানে নামে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের উপর আক্রমণ চালানো হয়। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস আর রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এর পরই শুরু হয় সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নীতি পুলিশি, শর্টস পরে আসায় অসমে পরীক্ষা দিতে বাধা পড়ুয়াকে