বাইরের রাজ্য থেকে আসা বাতাসের ভাসমান ধূলিকণা থেকেই দূষিত হচ্ছে এ রাজ্যের পরিবেশ। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হারে দূষণ বেড়েছে। বায়ুদূষণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আইআইটি দিল্লির গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যের সীমান্ত জেলাগুলিতে দূষণ পরিমাপের জন্য বসানো হয়েছে এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং স্টেশন।
শীতকালে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। আবহাওয়াজনিত কারণ বাতাসের দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাতাসের গতি বেশি থাকলে এবং মেঘলা আকাশ দূষণের বৃদ্ধির কারণ। এই মুহূর্তে বাইরের রাজ্য থেকে ভেসে আসা ধূলিকণার জন্য দূষণ রোধ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলে জানালেন রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। আইআইটি দিল্লির প্রাথমিক গবেষণা জানাচ্ছে, এ রাজ্যের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দূষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী বাইরের রাজ্য থেকে ভেসে আসা ভাসমান ধূলিকণা। দূষণ পরিমাপের জন্য এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৯৩টি এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং স্টেশন বসিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এছাড়া রাজ্যের সীমানা এলাকার যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ একাধিক জেলায় দূষণ পরিমাপের স্টেশন বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন আইআইটির গবেষকেরা।
আরও পড়ুন : গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ, জলের নমুনা সংগ্রহ করল স্বাস্থ্য দফতর
আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে এই মনিটরিং স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। ভাসমান ধূলিকণা মধ্যে একমাত্র পিএম (Particulate Matter) ২.৫ এবং পিএম ১০-এর সহনশীল মাত্রা চিন্তা বাড়াচ্ছে গবেষকদের। গোটা রাজ্যের ১৫০ টি সেন্সর নির্ভর মনিটরিং স্টেশন থেকে দূষণের গতিপ্রকৃতি বোঝার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য ঝাড়খন্ড, বিহার এমনকি উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে এবিষয়ে সমন্বয় রক্ষা করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।