৪৫ বছরের বিবাহিত জীবন। তাই রাগ আর আসে না। একদম ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে। বিরোধী জোটের নেতা মল্লিকার্জুনের খাড়গের কথার প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বললে সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।
আমি একজন শান্ত শিষ্ট পত্নী নিষ্ঠ ভদ্রলোক। উত্তম কুমারের কণ্ঠে ওগো বধূ সুন্দরীর এই গান শোনেনি এমন লোক মেলা ভার। বৌকে ভয় পায় না এমন পুরুষ এই জগতে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। যত খ্যাতনামা পুরুষই হোক, স্ত্রীর কাছে সে নিবেদিত প্রাণ। বিবাহিত জীবন বা স্ত্রীকে নিয়ে মজার মজার জোকসেরও অভাব নেই। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অন্দরেও সেই রকম কথাই আরও একবার শোনা গেল। আর সেই কথা শুনে রাজ্যসভার অন্দরে উঠল হাসির রোল। তাবড় তাবড় নেতারা মিটমিট করে হেসে ফেললেন। ৪৫ বছর হয়েছে বিয়ে করেছি। তাই আমি রাগ করি না। দ্রোর্দন্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ ধনখড়ের মুখে এই কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই হাসির রোল পড়ে যায় সংসদের অন্দরে। বুধবার বিরোধী জোটের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা হয়। সে সময় ধনখড় সেভাবে কথা বলেননি। তাতে খাড়গের মনে হয়েছে ধনখড় হয়তো রেগে আছেন। সেই কথা বৃহস্পতিবার জানাতেই চেয়ারম্যান বলেন- ৪৫ বছর বিয়ে হয়েছে তাই রাগ করতে ভুলে গেছি। মিস্টার চিদম্বরম একজন প্রবীণ অ্যাডভোকেট। তিনি জানেন আমাদের মত অ্যাডভোকেটদের কর্তৃপক্ষের কাছে রাগ দেখাতে নেই।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
গত কয়েকদিন ধরেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। মণিপুর নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে মন্তব্য রাখার দাবি তোলে বিরোধীরা। অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়। খাড়গে ধনখড়কে বলেন – দুপুর ১টা নাগাদ চেয়ারম্য়ানের ঘরে ২৬৭ ধারায় মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব। গত কয়েকদিন ধরেই মণিপুর নিয়ে সংসদে বচসা চলছে। আপনি একটিও প্রস্তাব গ্রহণ করছেন না। প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে উপস্থিত থাকার কথা বলা হচ্ছে। আপনি সে বিষয়েও নীরব। প্রধানমন্ত্রীকে আপনি সমানে আড়াল করে চলেছেন।
রাজ্যসভায় মণিপুর নিয়ে হই হট্টগোলের মাঝেই একদম অন্য রূপে দেখা গেল রাজ্যসভার চেয়ারম্য়ান জগদীপ ধনখড়কে।