ঝাড়গ্রাম: শুকনো ভাত, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর দিদিমণির খামখেয়ালিপনায় ধুঁকছে শিশুরা। বড় জামশোলার আইসিডিএস কেন্দ্রে (ICDS Centre) চলছে চরম অবহেলা। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার খাড়বান্ধী গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় জামশোলা গ্রামে শিশুদের ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নের মুখে। সরকারি কাগজে-কলমে আইসিডিএস কেন্দ্র থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব শুধু নামেই। নেই কোনও নিজস্ব ভবন, নেই সুস্থ-পরিষ্কার পরিবেশ, নেই পুষ্টিকর খাবার।
গ্রামের এক বাসিন্দার বারান্দায় চলে শিশুপাঠ, রান্নাবান্না ও খাওয়াদাওয়া। সেখানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দূরের কথা, ন্যূনতম ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। প্রতিদিন শিশুদের পাতে পড়ছে শুধু শুকনো ভাত। নেই সবজি, নেই ডাল। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই অব্যবস্থা। অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন, দিদিমণির উদাসীনতা এবং সুপারভাইজারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। ফোন করলেও সুপারভাইজার ফোন ধরেন না, অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না সাড়া।
আরও পড়ুন: মেধাতালিকায় এবারও কলকাতাকে টেক্কা জেলার মেয়ের
দিদিমণিকে জবাবদিহির কথা বললেই উত্তর মেলে, “চাকরি করতে গেলে একটু নির্লজ্জ হতেই হয়।” এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনোভাবেই বোঝা যায় কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। কখন স্কুল খুলবে আর কখন বন্ধ থাকবে, তারও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, সবই নির্ভর করছে দিদিমণির ব্যক্তিগত সময়ের উপরে।
বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেছেন, “আমি বিষয়টা জানি, অভিভাবকরাও আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী হওয়ায় কেউ শুনতে চায় না। তবু আমি বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে অভিযোগ জানাব।”
প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে দিনের পর দিন চলতে থাকা এই অবহেলা আর সহ্য করতে রাজি নন গ্রামবাসীরা। এখন তাঁদের একটাই প্রশ্ন, কবে জাগবে প্রশাসন? কবে শিশুরা পাবে সম্মানের সঙ্গে শিক্ষার ও পুষ্টির অধিকার?
দেখুন অন্য খবর: