চণ্ডীপুর: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চলছে মামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি নামের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকা এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার চণ্ডীপুরে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম টুম্পা রানী মণ্ডল। নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন টুম্পা। গতকাল সন্ধ্যায় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এড়াশাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চণ্ডীপুর থানার ঈশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহি কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন টুম্পা। তাঁর স্বামী সুবীর কুমার পড়ুয়া। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তের তালিকায় নাম ছিল টুম্পার।এই তালিকা দেখার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনেরা বারবার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। এলাকাবাসীদের মতে, চাকরি চলে যাবে ভেবে এই দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন:Taj Mahal: তাজমহলের বয়স কত, প্রকৃত ইতিহাস কী? আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক পদে টুম্পারানি চাকরি পান। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের ওই হাইস্কুলে তিনি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। টুম্পারানির এক আত্মীয় চণ্ডীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। টুম্পারানির বাপের বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।