সন্দেশখালি: উত্তপ্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ রবিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাচ্ছেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী, সুজিত বসু (Sujit Bose) এবং পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik)। জানা যাচ্ছে, সেখানে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। রবিবার সন্দেশখালিতে শাসকদলের সভা করার কথা ছিল কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে রবিবার সন্দেশখালিতে সভা বাতিল করেছে তৃণমূল। তার বদলে সেখানে যাবেন শাসক দলের দুই মন্ত্রী। বর্তমানে সন্দেশখালিতে বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। গত কয়েকদিনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে সন্দেশখালি।
২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। তারপর ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে জনসভা করবে তৃণমূল। ১ লক্ষ মানুষের ভিড় টার্গেট করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর, জনসভায় থাকবেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, নির্মল ঘোষ,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, দলের নেতৃত্বের নির্দেশে ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূলের উপপ্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলছেন এলাকাবাসীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৪)
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম সর্দারের পরে গ্রেফতার হয়েছে শিবপ্রসাদ হাজরা (Shiboprosad Hazra)। একের পর এক অভিযোগ রয়েছে এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে। শিবু হাজরা সন্দেশখালি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। ন্যাজাট থেকে শিবু হাজরা গ্রেফতার হয়েছে। সন্দেশখালি কাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, সন্দেশখালি নিয়ে শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বলেন, সেখানে জমি দখল একটা বড় সমস্যা। রবিবার থেকে ওই এলাকায় ভূমি দফতরের ক্যাম্প বসবে। সেখানে দফতরের অফিসাররা স্থানীয় মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেবেন। ডিজি জানান, সন্দেশখালির যে সব জায়গায় দরকার নেই, সেখানকার ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন মহিলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
আরও খবর দেখুন