কলকাতা: কংগ্রেসের (Congress) বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে ফের সুর চড়াল তৃণমূল (AITC)। চণ্ডীগড় পুরনিগমের মেয়র নির্বাচনকে হাতিয়ার করে দলীয় মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় কংগ্রেসকে দ্বিচারী বলে আক্রমণ করল তৃণমূল। কংগ্রেসকে ‘বিজেপির দোসর’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে একাধিকবার কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা দেশে একমাত্র তৃণমূলই লড়ছে বলে দাবি করেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো।
মঙ্গলবার ‘জাগোবাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘যতদিন যাচ্ছে তত কংগ্রেসের চরিত্র প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস নাকি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় না। কিন্তু কী হল হরিয়ানায়? চণ্ডীগড় পুরনিগমে সদ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের ফল এইরকম- আপ-১৪, বিজেপি-১২, কংগ্রেস-৮, অকালি দল-১। সব মিলিয়ে ৩৫ আসনের পুরসভা। আপের মেয়র পদে বসার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু কোন ক্ষমতাবলে বিজেপি মেয়রের পদ দখল করে নিল, তা জানলে অবাক হতে হয়।’
ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এনডিএ সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয় মেঘালয় কংগ্রেস। বিজেপির হাত ধরায় দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বিজেপিকে সুবিধে করে দিতে চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র পদের ভোটাভুটি এড়ায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের সৌজন্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল না হয়েও হেসে খেলে চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র পদ দখল করে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Chandigarh Civic Polls: ভোটাভুটি এড়াল কংগ্রেস, আপকে টপকে চণ্ডীগড়ের মেয়র বিজেপির
‘জাগোবাংলা’য় এই প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘ভোটাভুটির ঠিক আগেই কংগ্রেসের কাউন্সিলররা জানালেন, তাঁরা ভোটাভুটিতে থাকবেন না। কেন? কোনও কারণ নেই। আসলে তলে তলে অন্য খেলা চলছিল। বিজেপি তো ঘোড়া কেনাবেচা করতে ওস্তাদ। গোয়া-কর্নাটকের মডেলে চণ্ডীগড় দখলের লক্ষ্য ছিল। ঘোড়া কেনাবেচাকে বিজেপি কার্যত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।…বিজেপির এটাই চরিত্র। এখন তার দোসর কংগ্রেস।’
‘জাগোবাংলা’র সম্পাদকীয়
কয়েক মাস ধরেই অসম, ত্রিপুরা, গোয়া সহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও এতে কিছুটা অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। মাসখানেক আগে মমতা দিল্লি গেলেও সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেননি। জাতীয়স্তরে মোদি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। বাংলার ছাড়াও তাই অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছে। পাল্টা জমি ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেসও। ফলে যত দিন যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে লড়াই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ৭ বছর ধরে শুধুই হারছে, গোয়ায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা
এর আগেও ‘জাগোবাংলা’য় কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের নেত্রী বলেছিলেন জোটের কাঠামো হোক, স্টিয়ারিং কমিটি হোক, নীতি বা কর্মসূচির লাইন তৈরি হোক। কোথায় কী! কংগ্রেস টুইটেই সীমাবদ্ধ। জোট তৈরির কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। ২০১৪, ২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস ডুবেছে এবং ডুবিয়েছে। আমরা কি আবার ওদের জন্য বসে থাকব?’