কলকাতা: কোচবিহার (Coochbehar) থেকে কাকদ্বীপ (Kakdwip) সর্বত্র হল তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচি। একশো দিনের কাজের বকেয়ার দাবি এবং আদিবাসীদের প্রতি অবমাননার অভিযোগে শুক্রবার এবং শনিবার রাজ্যের সমস্ত বুথে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। ২৩ নভেম্বর নোজি ইনডোরের সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২ এবং ৩ ডিসেম্বর রাজ্যের সমস্ত বুথে মিছিল, মিটিং করতে হবে। ইতিমধ্যে একশো দিনের বকেয়া টাকার ইস্যুর পাশাপাশি জুড়ে গিয়েছে বিধানসভা চত্বরে বিজেপির অভব্য আচরণের বিষয়টিও। তৃণমূলের দাবি, বি আর আম্বেদকরের মূর্তি গঙ্গাজল দিয়ে শোধনের নামে বিজেপি আদিবাসীদের অপমান করেছে। কারণ, আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তিনদিনব্যাপী অবস্থানে অনেক আদিবাসী বিধায়ক এবং মন্ত্রীও হাজির ছিলেন।
এদিন সকাল থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয়েছে। নির্দেশ ছিল, সব শাখা সংগঠনকে একসঙ্গে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে। সেই মতো এদিনের কর্মসূচি হয়েছে। শনিবার সকালে পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবাড়ি পালপাড়া ধানহাটিতে চৈতন্যদেবের মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটির সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
আরও পড়ুন: গঙ্গার তীরে আর নির্মাণ নয়, বিহার সরকারকে নিশ্চিত করতে সুপ্রিম নির্দেশ
এদিকে আদিবাসী, এসসি, ওবিসি, দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির কুরুচিকর মন্তব্য ও জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার বিরুদ্ধে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শনিবার মাথাভাঙা শহরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এই মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মাথাভাঙ্গা শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে মাথাভাঙ্গা নজরুল সদনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।
আরও খবর দেখুন