ভূপতিনগরঃ দুবছর আগের ঘটনা নিয়ে এখন কেন এনআইএ (NIA) সক্রিয়, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল (TMC)। ভূপতিনগরে এনআইএ অফিসারদের উপর হামলার পর শনিবার ওই অভিযানের তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি উত্তরবঙ্গের তপনে এক সভায় এনআইএকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, মাঝরাতে তারা ঘরে ঘরে ঢুকে মহিলাদের উপর অত্যাচার করবে কেন। এনআইএ যদি এসব করে, তাহলে কি মহিলারা হাতে শাঁখা, বালা পরে বসে থাকবে? তারা নিজেদের ইজ্জত বাঁচাবে না? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাঝরাতে অচেনা লোক গ্রামে ঢুকলে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কেন আমাদের ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে?এরকম করে কি বিজেপি ভোটে জিতবে?
তৃণমূলের দুই নেতাকে এদিন এনআইএ গ্রেফতারের পর ভূপতিনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। কোথাও কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরের এক গ্রামে তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে ওই নেতা-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রথম দিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এনআইএ আট নেতাকে তলব করলে তাঁরা হাজিরা দেননি। এদিন ভোরে অর্জুননগর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বলাইচরণ মাইতি এবং নিজনাড়ুয়ার বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে এনআইএ ধরতে যায়। তারপরই শুরু হয় গোলমাল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যখন স্বীকার করছেন যে, এদিন ভোরে ভূপতিনগরে গোলমাল হয়েছে, তখন তৃণমূলের মুগবেড়িয়া অঞ্চল সভাপতি ফাল্গুনিকুমার নন্দের দাবি, এনআইএ অফিসারদের উপর কোনও হামলাই হয়নি। আচমকা এনআইএ অভিযানের কারণে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তিনি জানান, বলাই এবং মনোব্রতকে লোকসভা ভোটের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের জনসভা থেকে মমতাও বলেন, বিজেপির নির্দেশে বেছে বেছে তৃণমূলের বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা এনআইএ অফিসারদের কাছে তালিকা তুলে দিচ্ছেন। সেইমতো আমাদের ভোট ম্যানেজারদের ধরা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে ভূপতিনগরে চকোলেট বোমা ফেটেছিল। তাই নিয়ে এনআইএ যা খুশি করছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য বৃদ্ধিতে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহিলারা
আরও খবর দেখুন