কলকাতা : পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বিদ্যুৎ দফতর। তৃতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত কোন দিন কত বিদ্যুতের চাহিদা থাকতে পারে তার আগাম পরিকল্পনা করেছে বিদ্যুৎ দফতর।
হাতে আর মাত্র কটা দিন।শুরু হয়েছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পুজোর প্রস্তুতি। সেই মোতাবেক বিদ্যুৎ এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সিইএসসি-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চাহিদার তুলনায় রাজ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের যোগান রয়েছে।পুজোর ৪৫ দিন আগে ‘পুজো প্রস্তুতি বৈঠক’ শেষে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন কম টাকায় ইলেকট্রনিক জিনিসের টোপ, তিন বছর পর পুলিশের জালে প্রতারক
রাজ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। গোটা রাজ্যের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎতের যোগান এখন দিতে পারবে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেই বৈঠকে জানানো হয়। পুজোয় ষষ্ঠীর দিন বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাধিক ৮৯০০ মেগাওয়াট থাকবে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ দফতর। যা গত বছর ষষ্ঠীর দিনের তুলনায় প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট বেশি। উৎসবের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা যৌথভাবে কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে মোবাইল ভ্যান পরিষেবা দেবে। মোবাইল ভ্যানে থাকবেন বিদ্যুৎ দফতরের টেকনিক্যাল কর্মীরা।
আরও পড়ুন টেন্ডার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদকে ফের হেফাজতে চাইল পুলিশ
বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাপ নির্ধারিত করার পাশাপাশি বৈঠকে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ২৪ ঘন্টা যে কোনও অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণেরা। এছাড়াও পুজো কমিটিগুলির থেকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ এলে দ্রুত এই মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন হাল ফেরাতে অনলাইন মার্কেটেই আস্থা রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র দফতরের
আপাতত বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের বিভিন্ন মেরামতির কাজ আটকে রয়েছে। বৃষ্টি থামলেই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত মেরামতির কাজ শেষ করা হবে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসসহ ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা। এছাড়া ছিলেন সিইএসসি, ডিভিসি, এনটিপিসি, কয়লা, মেট্রো রেল, ইসিএল ও রেলের আধিকারিকেরা।