আলিপুরদুয়ার: সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের (Central Dooars Tea Estate) কালিঝোরা নদীর (Kalijhora River) উপর ছিল না কোনও পাকা সেতু। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। তাই প্রশাসনের উপর সমস্ত আশা ভরসা ছেড়ে দিয়ে গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে তৈরি করেছে পাকা সেতু। এই অভিযোগ তুলে বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বিশেষত্ব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বর্ষাকালে। ভুটান পাহাড় থেকে জল নেমে আসে। তখনই সমস্যায় পড়েন নদীর এপারে দাঁড়াগাও বস্তি ও নদীর ওপারে সেন্ট্রাল ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সবরকমের যোগাযোগের রাস্তা। সব থেকে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হন দাঁড়াগাও বস্তির বাসিন্দারা।
এই এলাকার বাসিন্দাদের বাজার ঘাট, হাসপাতাল, স্কুল, অফিস কোথাও যেতে হলে এই কালিঝোরা নদী পেরিয়েই যেতে হয়। বছরের পর বছর নদীর উপর দিয়েই চলে যাতায়াত। কিন্তু বর্ষাকালেই সেই রাস্তা হয়ে ওঠে দুর্গম। ওই সময়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বারংবার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, আলিপুরদুয়ার জেলাপরিষদের কাছে তারা আবেদন জানান রাস্তা সংস্কারের। কিন্তু কোন সুরাহা মেলেনি। তাই প্রশাসনের উপর সমস্ত আশাভরসা হারিয়ে এবার গ্রামবাসীরা নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে তৈরি করেন সেতু। গ্রামবাসীদের স্পষ্ট বক্তব্য প্রশাসনের উপর তাঁরা সমস্ত রকম আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ জোড়া খুন কাণ্ডে কি CBI তদন্ত, কী বলল হাইকোর্ট?
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার সাংসদ মনোজ টিগ্গা জানান আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে আছে। আলিপুরদুয়ার জেলার সেণ্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় গ্ৰামবাসীদের নিজেদের সেতু তৈরি করতে হচ্ছে এর থেকে দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। বারংবার আবেদন করে কিছু হচ্ছেনা। দীর্ঘিদিন ধরে একই সমস্যা। সমাধানের পথ মেলেনি এখনও। এদিকে বর্ষার আর বিশেষ দেরি নেই। এই আবহে সেতু মেরামত না হলে বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে পারে। তাই কবে স্থায়ী সেতু তৈরি হবে, সেই আশায় দিন গুনছেন এলাকাবাসী।
অন্য খবর দেখুন