বোলপুর: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীর(BISWABHARATI)৷ কয়েকদিন আগে তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ৷ তবে, ভুল স্বীকার করলে নতুন করে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়৷ কিন্ত, পড়ুয়ারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়৷ এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ঘটনায় তাদের অপরাধী ঘোষণা করেছে, পড়ুয়ারা তা অপরাধ বলে মনেই করে না৷ পড়ুয়াদের স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁরা প্রতিবাদ করেছিল৷ তাই, ভুল স্বীকার করা কিংবা ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ বরং, কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনসমর্থন কুড়োতে খোলা চিঠি দিয়েছে তারা৷
তাঁরা খোলা চিঠিতে লিখেছে, ‘‘আমরা সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান ও রূপা চক্রবর্তী। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা আন্দোলন করছিলাম । সেই ‘ অপরাধে’ বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে উপাচার্য আমাদের তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে আমাদের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে এনেছেন । আমরা আমাদের শিক্ষার অধিকার ফিরে চাই । আমরা আপনাদের পরিবারের সন্তানের মত । অন্যায়ের কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করতে পারব না । মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই আমরা । তাই আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পথেই থাকব । সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আমাদের পাশে থাকুন , আমাদের শক্তি দিন।’’
আরও পড়ুন-টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে হদিশ গোল্ড সম্পত্তির, তৃতীয়বার জেল হেফাজত শ্যামাপ্রসাদের
ফাল্গুনী পান, রুপা চক্রবর্তী, সোমনাথ সৌ এই তিন পড়ুয়া অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপকের অফিস ঘরের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সিল করে দেওয়া তালা ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে এই তিন ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করে। পরে এই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তিনজন ছাত্রছাত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিনজনের তিন বছরের জন্য স্টুডেন্টশিপ বাতিল করার বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। যদিও এই ছাত্র ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে নিঃস্বার্থ ভুল স্বীকারোক্তি দিলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।