কলকাতা: বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে সিপিএমের। খাতাই খুলতে পারেনি সিপিএম সহ অন্য বাম দলগুলি। কেরল বাদে দেশের বাকি অংশে কার্যত দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয় সিপিএমকে। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সিপিএমের কাছে। সে কারণেই হয়তো এ বার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার পথে হাঁটল তারা।
ব্যাপারটা খোলসা করা যাক। আজ, শুক্রবার স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা বিপ্লবী শহিদ আশফাকুল্লা খানের জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালে কাকোরি ষড়যন্ত্র (ট্রেন লুট) মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। জন্মবার্ষিকীকে সেই আশফাকুল্লাকে স্মরণ করল সিপিএম। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন সিপিএম! সেই দল, যারা একসময় নেতাজিকে অপমান করতেও পিছপা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেবাসে সাভারকার-গোয়ালকারের লেখা, সিপিএম শাসিত কেরলে তুমুল বিতর্ক
আশফাকুল্লা খান ও ভগত সিং
শুক্রবার দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ফেসবুকে একটি পোস্টে আশফাকুল্লাকে শ্রদ্ধা জানান। কাকোরি মামলায় আশফাকুল্লার সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল রামপ্রসাদ বিশমিল ও রোশন সিংকে। তাঁদের আত্মবলিদানের কথাও লেখেন সূর্যবাবু। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ওই একই পোস্টে তিন বিপ্লবীকে স্মরণ করা ছাড়াও বিজেপি-আরএসএসকে আক্রমণ করেন।
সূর্যকান্ত লেখেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একজোট হয়ে লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। অথচ আরএসএস-বিজেপির সৌজন্যে সেই স্বাধীনতা আজ ধুলোয় মিশে যেতে বসেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মানুষের নজর কাড়তে চাইলেও আদপে বিষয়টি বুমেরাং হয়ে ফিরেছে সিপিএমের কাছে। ট্রোলে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
আরও পড়ুন: তারুণ্যে জোর দেওয়া হলেও সিপিএমের পদে পদে বৃদ্ধ কমরেডরা
কাকোরি মামলার অভিযুক্তরা
১৯০০ সালের ২২ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে জন্মগ্রহণ করেন আশফাকুল্লা। ১৯২০-র দশকের মাঝামাঝি আশফাকুল্লা এবং বিসমিল হিন্দুস্তান সোশালিস্ট রিপাবলিক অ্যাসোসিয়েশন গঠন করার কাজ শুরু করেন। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনই তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল।