কলকাতা: অতিমারির মাঝে গত বছরে পুজোর সময়ে জারি ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। ভাইরাসের আতঙ্কের মাঝেও রাজ্যের অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছিল মানুষের ভিড়। আদালতের নির্দেশ উড়িয়েও মণ্ডপে দর্শণার্থীদের সমাগম দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছিল প্রশাসনের অন্দরে। বছর ঘুরতেই সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে নবান্নে।
চলতি বছরে পুজোর আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় বিশেষ কোনও বদল আনেনি রাজ্য সরকার। আগের মতো একই নিয়মের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেও পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপে ভিড় নিয়ে আতঙ্কিত প্রশাসন। যা নিয়ে বুধবার রাজ্যের সকল জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনের আশঙ্কার কারণ হচ্ছে- আগের থেকে এখন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। টিকাকরণের কাজ চলছে জোরকদমে। অনেক মানুষের করোনা টিকার একাধিক ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশের শরীরে গিয়েছে প্রথম ডোজ। সেই কারণে করোনা সম্পর্কে সাধারণের মনে আতঙ্ক অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন- পুজোয় উস্কানিমূলক কাজের আশঙ্কা, উদ্যোক্তাদের সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সেই আত্মবিশ্বাসের উপরে ভর করেই এবারে মণ্ডপ মুখি হতে পারে সাধারণ মানুষ। যাদের কেবল পুলিশ দিয়ে মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব। আর পুজর সময়ে কড়া হাতে সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ প্রতিকূল। সেই সঙ্গে টিকাকরণের ভরসায় গত বছরের তুলনায় এবারে পুজোর সংখ্যাও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে দর্শণার্থি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা করোনার সংক্রমণে বিশেষ সহায়ক হতে পারে।
আরও পড়ুন- শরিকি মামলায় বন্ধ হবে না নদিয়ার শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাপুজো, রায় হাইকোর্টের
এই সকল বিষয় নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে ভিড় ঠেকানোই প্রশাসনের কাছে বর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সকল বিষয় মাথায় রেখেই পুজো সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করবে প্রশাসন। সেই অনুযায়ীই যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।