বসিরহাট: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ফের উত্তাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানার সামনে থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধমার ঘটল সন্দেশখালিতে। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shajahan) গ্রেফতারির দাবিতে সুকান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে থানার সামনে ধরনায় বসেন। তাঁর হুমকি, শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তিনি উঠবেন না। তাঁকে ঘিরে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ কর্তারা তাঁকে পাঁচ মিনিট সময় দেন উঠে যাওয়ার জন্য। তিনি না ওঠায় পুলিশ লাঠি চালায়। জোর করে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। লাঠির ঘায়ে অনেক মহিলাও জখম হন। থানার এক রাঁধুনি লাঠির বাড়ি খেয়েছেন। সুকান্ত, দলের জেলা নেত্রী অর্চনা মজুমদারকে পুলিশের লঞ্চে করে ধামাখালির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সুকান্ত বলেন, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, জানি না।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৮)
আরও পড়ুন: খলিস্তানি বিতর্ক, শাস্তির দাবিতে রাজ্যপালের কাছে শিখ সম্প্রদায়
পরে পুলিশের একটি সূত্রের খবর, সুকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে যা করার করা হবে। ১৪৪ ধারা অমান্য করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পিআর বন্ডে কিছুক্ষণ পর তাঁকে এবং অর্চনা মজুমদারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুকান্তর বিক্ষোভ চলার সময় বিজেপি সমর্থক মহিলাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। সুকান্তকে নিয়ে যাওয়ার পর মহিলারা থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক মহিলাকে থানার সামনে হাতে জুতো নিয়ে চড়া সুরে কথা বলতে দেখা যায়। সুকান্তকে যে লঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়, তাতে সাংবাদিকদের উঠতে দেয়নি পুলিশ। ছাড়া পেয়ে সুকান্ত বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান চালাচ্ছিলাম আমি। পুলিশ লাঠি চালিয়ে টেনে হিঁচড়ে আমাকে এবং আমাদের নেত্রী অর্চনাকে নিয়ে যায়। বাংলার মানুষ সব দেখছে।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়টি এলাকায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন