দত্তপুকুর: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) হাতে উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দির (Ram Mandir)। অযোধ্যার (Ayodhdha) সেই মন্দির উদ্বোধন ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) মুখে হিন্দুত্বের সুড়সুড়ি দিতে এর থেকে বড় অস্ত্র আর কী হতে পারে বিজেপির (BJP) কাছে। সেই রামমন্দিরে রামের যে বিগ্রহ বসবে, তার স্থপতি বঙ্গেরই মহম্মদ জামালউদ্দিন এবং তাঁর ছেলে বিট্টু। বাপ-বেটার হাতে তৈরি প্রায় ১৬ ফুট লম্বা ফাইবারের রামের মূর্তি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে অযোধ্যায়। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে এ কাজ করার জন্য রীতিমতো গর্বিত জামালউদ্দিন। তিনি বলেন, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে দিঘার মোড়ের বাসিন্দা জামালউদ্দিনের বাড়ির কাছেই কারখানা। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ শিখেছেন হায়দরাবাদে রামোজি ফিল্ম সিটিতে। সেখান থেকে ফিরে বাড়ির লাগোয়া এলাকায় কারখানা গড়েছেন। মাটি দিয়ে দুর্গা, শিব, কালী মুর্তি তৈরি করতেন। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক বন্ধুর সুবাদে জামালের সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে যায় রামমন্দির ট্রাস্টের কর্মকর্তাদের। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি জামালউদ্দিনকে। বাবা এবং ছেলেই বরাত পান দুটি রামমূর্তি গড়ার। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন মূর্তি গড়ে। দত্তপুকুরের সন্তান রামের মূর্তি গড়ার বরাত পাওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ হল
দত্তপুকুরের অনেকেই মাটি দিয়ে প্রতিমা গড়েন। এবার তাঁদেরও কপাল খুলতে পারে বলে আশা করে রয়েছেন দত্তপুকুরের শিল্পীরা। জামালউদ্দিন বলেন, আমার হাতের তৈরি রামের মূর্তি অযোধ্যার মন্দিরে স্থাপন হবে, সেটা আমার কাছে একটা বড় পাওনা। আমি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। আমি যতটুকু জানি, অন্য ধর্মকে আমরা যদি ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং সম্মান করতে পারি তাহলে আমাদের ধর্মকেও অন্য ধর্মাবলম্বীরা ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং সম্মান করবে। ইসলাম ধর্ম আমাদের সেটাই শেখায়। আমি আজ খুব খুশি।
আরও অন্য খবর দেখুন: