বীরভূম: বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের (Sainthia) মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Mathpalsa Gram Panchayat) ক্ষমতা কার দখলে থাকবে? সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলী খান গোষ্ঠীর হাতে নাকি বীরভূম জেলা তৃণমূল কমিটির সদস্য সাধন মুখার্জির গোষ্ঠী হাতে? এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল (TMC Group Conflict)। তৃণমূলের স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব পরিণত হল সংঘর্ষে। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় এই উত্তেজনা পরিণত হয় সংঘর্ষে। দুপক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাপক মারধর চলে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন ২ জন। স্থানীয় সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ২৪)
মূলত এলাকার রাস কার হাতে থাকবে সেই নিয়েই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়ার কথা জেলা তৃণমূল কমিটির সদস্য সাধন মুখার্জি গোষ্ঠীর কাজল শেখের লোকের। কিন্তু তা হয়নি। প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী সাঁইথিয়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলী খানের গোষ্ঠীর আতিক শেখের ভাইপোর বৌ মাঠপলসার পঞ্চায়েত প্রধান হয়। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে।
আরও পড়ুন: ফিরহাদের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনকে চিঠি বিজেপির
লোকসভা নির্বাচনের মুখে সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলীর নির্দেশে মাঠপলসা অঞ্চলে একটি দলীয় বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই মাঠপলসা অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ব্লক সভাপতি সাবের আলীর সাথে বচসা হয় সাধন মুখার্জির গোষ্ঠী কাজল শেখের। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসে তৃণমূল ব্লক সভাপতি। এরপরই অভিযোগ কাজল শেখের লোকজনদেরকে সাঁইথিয়ার ইউনিয়ন বোর্ড মোড়ে আটকাই আতিক শেখের লোকজন। তারপরই মারধর করা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়। তাদের মধ্যে মাথাও ফাটে। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও খবর দেখুন