কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) জেলে যাওয়ার পর বীরভূম তৃণমূলে প্রথম কোর কমিটিতে (Birbhum TMC Core Committe) ঠাঁই হয়নি নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের (Kajal Shekh)। পরে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কোর কমিটির কলেবর বাড়িয়ে দেন। তাতে তিনিই জায়গা করে দেন কাজলকে। ক্রমে দলের অন্দরে ক্ষমতা বাড়তে থাকে একসময় কোণঠাসা হয়ে পড়া কাজলের। পঞ্চায়েত ভোটে তাঁকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করেন খোদ মমতাই। এখানেই শেষ নয়। নেত্রীর ইচ্ছেতেই কাজল এবার বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন। সভাধিপতি হওয়ার পর প্রতিপত্তি আরও বেড়ে যায় কাজল শেখের।
মঙ্গলবার সেই কাজল শেখকেই কালীঘাটের বৈঠকে নেত্রীর তোপের মুখে পড়তে হল। এদিন বীরভূম জেলার সর্বস্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। দলের অন্দরের খবর, মমতা কাজলকে সাফ জানিয়ে দেন, গোটা বীরভূমে তাঁর দাপিয়ে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই। নেত্রী কাজলকে বলেন, তুমি কত বড় নেতা যে চেয়ার ছেড়ে উঠে যাও। মনে রেখো, তুমি শুধু জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তোমার সারা জেলায় ঘুরে বেড়ানোর দরকার নেই।
আরও পড়ুন: বীরভূমে কোর কমিটি ভেঙে দিলেন মমতা, নতুন কমিটিতে বাদ কাজল
এদিনের বৈঠক থেকে বীরভূমের পুরনো কোর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরিবর্তে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে পাঁচজনের একটি কোর কমিটি গড়ে দেন নেত্রী। সেই কমিটিতেও ঠাঁই হয়নি কাজলের। মমতাই জেলা সভাধিপতিকে বলেন, আপাতত নতুন কোর কমিটি করা হল। সেই কমিটির বাইরেই থাকবে তুমি। দরকার হলে তোমাকে ডেকে নেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার আগে থেকেই কাজলের দাপট বাড়ছিল। তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে সভা করছিলেন। ব্লক এবং মহকুমার নেতাদের ধমকানি দিচ্ছিলেন। সূত্রের খবর, জেলার অনেক নেতাই কাজলের বিরুদ্ধে কালীঘাটে অভিযোগ করেন তাঁর বাড়াবাড়ি নিয়ে। সেই কারণেই এদিনের বৈঠকে তাঁকে সতর্ক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও অন্য খবর দেখুন