কলকাতা: সংক্রমণ রুখতে এখনই চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার কমছে। ভ্যাকসিনেশনের উপরও জোর দিচ্ছে সরকার। তা সত্ত্বেও তৃতীয় ঢেউ এর কথা ভেবে আপাতত রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: BREAKING:রাজ্যে বাড়ল করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ, বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন
নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় যাতায়াতে খুব সমস্যা হচ্ছে৷ জরুরি কাজে বেরতে পারছেন না৷ আবার স্পেশাল ট্রেনেও উঠতে দেওয়া হয় না৷ লোকাল ট্রেন চালু হলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে৷ চলতি মাসে শিয়ালদহ উত্তর ও দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে লোকাল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছিল।
রেলের তরফে গ্রিন সিগন্যাল মিললেও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত লোকাল ট্রেন (Local Train) চালু করতে চাইছে না রাজ্য সরকার, নবান্ন (Nabanna) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। স্টাফ স্পেশাল যেমন চলছে, তেমনই চলবে। রেলের কর্মীরা ছাড়াও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও ট্রেনে চড়তে পারবেন।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন না মিললেও স্টাফ স্পেশালের সঙ্গে চলবে কৃষক স্পেশাল
সাধারণ যাত্রীরা এখনই লোকাল ট্রেনে চড়তে পারবে না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কোভিড বিধি মেনে ট্রেনে সফর করতে হবে। মেট্রো শনি-রবি বন্ধই থাকছে। সোম থেকে শুক্রবার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রো পরিষেবা চালু থাকবে। নিয়মিত কামরাগুলি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
ট্রেন চালু না হলেও আগের মতোই সরকারি এবং বেসরকারি বাস চালু থাকবে। ট্রাম, ট্যাক্সি, ক্যাব, অটো রিক্সা, ফেরি পরিষেবাও মিলবে। তবে সব ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যানবাহনকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘গুণ্ডামি করে বিল পাস করেছে কেন্দ্র’, দাবি তৃণমূলের
লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে একাধিকবার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব রেল। তবে বিধিনিষেধে বেশকিছু শিথিলতা আনলেও রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য আবেদন না মানায় ভিড় সামাল দিয়ে জুনের মাঝামাঝি থেকে ধাপে ধাপে স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ায় রেল। জুলাই, অগস্টে তা আরও বাড়ানো হয়।
রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে ভাবে যাত্রী বাড়ছে, তাতে স্টাফ স্পেশাল বাড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। স্টেশনে স্টেশনে ট্রেনে ওঠার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন যাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ সামলাতে জিআরপি, আরপিএফ-এর নাভিশ্বাস উঠছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে জখমও হয়েছে পুলিশকর্মীরাও।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা মমতার