কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata blocked Dhankhar) তাঁকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন। তা জানার অব্যবহিত পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সেই সংবিধানকেই হাতিয়ার করলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই টুইট করে রাজ্যপাল। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে লেখেন, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯-এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়মনীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখা।’ সংবিধানে আস্থা রাখার কথা আগেও একাধিকবার বলেছেন ধনখড়।
প্রায় দু-বছর ধরে রাজ্যপালের কাছে কেন তথ্য ‘ব্লক’ করে রাখা হয়েছে, দ্বিতীয় টুইটে সেই প্রশ্নও তুলেছেন জগদীপ ধনখড়। সংবিধানের ১৬৭ ধারার উল্লেখও করেন রাজ্যপাল। টুইটে ধনখড় লেখেন, অনুচ্ছেদ ১৬৭-র অধীনে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রশাসন সম্পর্কিত এই ধরনের তথ্য রাজ্যপাল চাইতে পারেন। তা দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1488113939741167619?s=20&t=Y7i2QXckWT3MECsP4o9wTw
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি। ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি।’ টুইটারে তাঁকে ট্যাগ করে বিরক্ত করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1488123872633188354?s=20&t=Y7i2QXckWT3MECsP4o9wTw
রাজ্যপালের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘ওঁর কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। আমি নিজে দেখা করেছি। কথা বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। হাওড়া-বালি বিল আটকে রয়েছে। হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ফাইল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ফাইলও উনি আটকে রেখেছেন। উনি যে যে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন, আমরা তা পাঠিয়েছি। তার পরেও ফাইল আটকে রয়েছে। যদিও রাজ্যপাল দিন কয়েক আগে দাবি করেন, তিনি কোনও ফাইল আটকে রাখেননি। রাজভবনে কোনও ফাইল পড়ে নেই।
আরও পড়ুন: Mamata-Dhankhar Twitter: রাজ্যপাল ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী!
রাজ্যপাল সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করায়, তাঁকে সরানোর আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চার বার চিঠি দিয়েছেন বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ, এর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল ধর্মবীরের উল্লেখ করে বলেন, ‘বাম জমানায় রাজ্যপাল ছিলেন ধর্মবীর। তিনি কিছু ফাইলে সই করেননি বলে আন্দোলন হয়েছিল। শেষমেশ তাঁকে সরতে হয়েছিল। আমরা তো দেড় বছর ধরে ওনাকে সহ্য করছি।’