জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দাপটে মৃত্যু হল চার জনের। জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। রবিবার দুপুরে খানিক সময়ের ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের একাধিক এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের ডালে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। অন্যদিকে দোকান ও বিভিন্ন বাড়ির ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। প্রাণ হাতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন পথ চলতি স্থানীয়রা। ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন দ্বিজেন্দ্রনারায়ন সরকার (৫২), অনিমা রায় (৪৯), যোগেন রায় (৭০) সমর রায় (৬৪)।
এদিন দুপুরে থেকে দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়ি। গোশালা মোড় থেকে রংধামালি যাওয়ার রাস্তার গাছ পড়ে আটকে যায়। এদিকে গোশালা মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে একাধিক দোকানের টিনের চাল উড়ে যায়। একইসঙ্গে সেন পাড়ার গাছের ডালে চাপা পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দমকল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে ওই ব্যক্তির গায়ে পড়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁচ্ছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বোকা হতে চায় ছোট্ট রিক, কিন্তু কেন, জানুন
এদিকে গোশালা মোড়েও গাছের ডালে চাপা পরে মৃত্যু হয় এক মহিলার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম অনিমা বর্মণ (৪৯), বাড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকায়।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দেখতে যান ধূপগুড়ির বিধায়ক তথা জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র রায়। আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকা ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। আমি সেখানে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব, এই সময় যাতে সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এবং রাজ্য সরকারকে যেন সেই অনুমতি দেওয়া হয়। যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা সম্ভব হয়।