দাসপুর: জীবিত থেকেও মৃত তাই হঠাৎ করে বন্ধ লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। নিজেকে ‘জীবিত প্রমাণ করতে আদালত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ গৃহবধূ। দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূর দাবি, প্রশাসনের আধিকারিকরা তাকে জীবিত প্রমাণ করে তার লক্ষীর ভান্ডার চালু করুক। এমনই অবস্থা দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাড় গ্রামের বছর পূর্ণিমা বারিকের (Purnima Barik daspur)।
সরকারি খাতায় মৃত তাই জুন মাস থেকে মেলেনি লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাড় গ্রামের বছর ৩৫ এর পূর্ণিমা বারিক স্বামী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। সুস্থ, স্বাভাবিক রয়েছেন। দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন পূর্ণিমা। প্রত্যেক মাসে রাজ্য সরকারের দেওয়া পাঁচশো টাকাও ঢুকছিল অ্যাকাউন্টে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আর সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় তিনি মেয়েদের টিউশনের পয়সা মেটাতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারি খাতায় তিনি হয়ে গেলেন মৃত। বন্ধ হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডার। প্রথমে বুঝতে পারেননি পূর্ণিমা, কি করে বন্ধ হল তার লক্ষীর ভান্ডার। ব্লক প্রশাসনের কাছে একাধিক বার দারস্ত হয়ে শেষমেষ জানতে পারেন তিনি মৃত, তাই বন্ধ হয়ে গেছে লক্ষীর ভান্ডার।
আরও পড়ুন: ফের রেফার রোগের বলি এসএসকেএমে
একেই অভাবের সংসার কোনও মতে দিন চলে। তার উপর মাসে মাসে সরকারের থেকে পাওয়া ৫০০ টাকাও বন্ধ। জীবিত থেকেও সরকারি খাতায় সে মৃত। ঘটনায় ভীষণ ভেঙে পড়েছেন পূর্ণিমা। তাই নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় একাধিকবার ঘুরেছেন। কিন্তু তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বন্ধ লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা অবশেষে পূর্ণিমা নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে আদালতের কাছে গিয়েও নিজের সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। কিন্তু কিভাবে ঘটলে এমন ঘটনা,ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এটা আধার কার্ডের সমস্যা থেকেই হয়েছে।
পূর্ণিমার দাবি, দ্রুত তাকে তার লক্ষীর ভান্ডার চালু করে দেওয়া হোক। যদি এ বিষয়ে দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের বিডিও প্রবীর কুমার শিট বলেন, বিষয়টি শুনেছি ওই মহিলার সঙ্গে কথাও বলেছি, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, দ্রুত সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ জন।
আরও অন্য খবর দেখুন