কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) অনুমতি মিলেছে৷ রাজ্য সরকার ক্লাব গুলিকে দুর্গাপুজোর (Duga Puja) সময় যে টাকা দেয়, সেই টাকা দেওয়া হবে৷ শনিবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অনুমতি মিলেছে৷ খুব শীঘ্রই ক্লাব গুলিকে টাকা দেওয়া হবে৷ পুজোর আগেই সেই টাকা পাবে ক্লাব গুলি৷’
ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া ছাড়াও পুজোর আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন বাংলার মা-বোনেরা৷ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের যে চারটি জেলায় নির্বাচন রয়েছে সেখানকার মা-বোনেরা এখনই টাকা পাবেন না৷ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে৷ মমতা বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা,নদিয়া কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পুজোর পর ভোট রয়েছে৷ ওই সমস্ত জেলার মা-বোনেদের চিন্তার কারণ নেই৷ ভোট মিটে গেলে একসঙ্গে নভেম্বরে কয়েক মাসের টাকা পৌঁছে যাবে৷
করোনাকালে নেতাজী ইন্ডোরে পুজো আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করে দুর্গাপুজো কমিটি পিছু ৫০ হাজার করে অনুদানের কথা ঘোষণা করা হয়৷ গত কয়েক বছরের মতো দমকল বা কলকাতা পুরসভা ও অন্যান্য পুর কর্তৃপক্ষ ও পঞ্চায়েত কোনও অর্থ নেবে না৷ পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ ব্যয়ের অর্ধেক ছাড় দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে৷ কয়েকদিন আগে মমতা জানিয়েছিলেন, ‘রাজ্যে ৩৬ হাজার ক্লাব ও কলকাতায় আড়াই হাজার ক্লাবে পুজো হবে। করোনা পরিস্থিতিতে যত বেশি মাস্ক ব্যবহার করতে পারা যায়, ততই ভালো। করোনা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পুজোর সময় এ ব্যাপারে প্রচার করতে হবে।’
আরও পড়ুন-পুজো মণ্ডপ ‘নো এন্ট্রি’ জোন, দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, নির্দেশ হাই কোর্টের
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ করোনাবিধির মধ্যেও পুজোর দিন গুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ সকলে ভালো ভাবে উৎসব কাটান৷ নাইট কার্ফু তুলে দেওয়া হয়েছে৷ হয়তো মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না৷ বাইরে তো ঘুরতে পারবেন৷ সাবধানে-আনন্দে পুজো কাটান৷