কলকাতা: পুজোর সময় শীর্ষে উঠবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। একাধিক সংস্থার করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত গবেষণায় এই ইঙ্গিত মিলেছে। মাস দুয়েক যাবত রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুজোর মুখে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, পুজোর ভিড় ফের ডেকে আনতে পারে বিপদ।
পুজোর ভিড়ে লাগাম টানতে ২০২০-র মতো এ বারও দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। শুক্রবার হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ১৯ অক্টোবর ও ২১ অক্টোবর ২০২০ করোনা আবহে দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে রাজ্য সরকার। সেই রায় বহাল রাখার কথা জানায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পুজো উদ্যোক্তা ও পুলিসকে কোভিডবিধি বলবৎ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুজোয় নেই করোনার নাইট কার্ফু, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল বিধিনিষেধ
হাই কোর্ট জানিয়েছে, ছোট পুজো ও বড় পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শন করা যাবে। কোনও ভাবেই মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। নির্দিষ্ট দূরত্বে বজায় রেখেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে। মণ্ডপের ভিতরে পুজোর জন্য কিছু সংখ্যক মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন। বড় পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জনের প্রবেশাধিকার মিলবে। তাঁদের নামের তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে রাখতে হবে।
২০২০-তে হাই কোর্টের নির্দেশে কারণেই করোনার সংক্রমণ অনেকটা ঠেকানো সম্ভব হয়েছিল। গত বছর রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে দর্শকদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুজো প্যান্ডেলগুলিকে ‘নো এন্ট্রি’ জোন হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় আদালত। ছোট-বড় সমস্ত মণ্ডপের চারপাশে ৫ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করার কথাও বলে আদালত। পুজোর কাজের জন্য মণ্ডপের ভিতর সর্বোচ্চ ২৫ জন ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উৎসবের দিনে ফের সংক্রমণের আশঙ্কা, পুজোতেও কোভিড বিধিনিষেধ কেন্দ্রের