কাটোয়া: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন ও তথ্য লোপাটের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কাটোয়া মহকুমা আদালতের। শুক্রবার পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক তথা কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর এই রায় দান করেন। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন তিনি।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী শেখ আশরাফ আলি বলেন, ২০১৮ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিলেন। খুন, ধর্ষণ, তথ্য লোপাট-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ ছিল জাহাঙ্গীর শেখ-এর বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নাবালিকার মা। তিনি অভিযোগ করেন, চানাচুর খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে জাহাঙ্গীর শেখ তাঁর মেয়েকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ ছিল না ওই নাবালিকার। পরদিন বেলার দিকে এক প্রতিবেশীর ডোবার ধারে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ও শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের দাগ ছিল তার। কেতুগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই শিশুকে উদ্ধার করে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। ময়নাতদন্তে দেখা যায় শুধু খুন নয়, নাবালিকাকে ধর্ষণও করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিস।
আরও পড়ুন: College Student Death: রেললাইন থেকে উদ্ধার কলেজ পড়ুয়ার মৃতদেহ
ঘটনার তিন মাসের মধ্যে ১১ মে ২০১৮ সালে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার অর্শাদ খান। মোট ২১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষী গ্রহণ হয় আদালতে। জাহাঙ্গীরের বাবা সিরাজ শেখ বলেন, আমরা এই রায় মানছি না। আমার ছেলেকে যখন ধরা হয় ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। তাহলে নাবালকের এই সাজা হয় কী করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।