বনগাঁ: বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার সম্ভবত কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। বুধবার সংসদে আয়োজিত শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরকে, মতুয়া সম্প্রদায়ের দুই প্রাণ পুরুষ ও পরম আরাধ্য শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্রী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে এই দিনটি একটি ‘কালো দিন’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বালা ঠাকুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম নেওয়ায় তার শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন জগদীপ ধনখর। এজন্যই আমরা বলি বিজেপি বাংলা বিরোধী সরকার।
আজ সন্ধ্যায় আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে আজ একটি কালো দিন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনখড় আমাদের সাংসদ মমতা ঠাকুরকে তাঁর শপথ গ্রহণ করার সময় মতুয়া সমাজের ঈশ্বরতুল্য দুই আরাধ্যের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও জগদীপ ধনখড় বিজেপির হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। মমতা ঠাকুর দ্বিতীয়বার শপথবাক্য পাঠ করতে বাধ্য হন এবং তাঁকে তাঁর আরাধ্য-দ্বয়ের নাম নিতে বাধা দেওয়া হয়।
বিশ্বজিৎ উল্লেখ করেন, কীভাবে বাংলায় ভোট ভিক্ষা করতে আসা বিজেপি বারবার বাংলার মহাপুরুষদের অসম্মান করেছে। তিনি বলেন, ‘‘গত নির্বাচনগুলির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের দেব-দর্শনে এসেছিলেন। আর এখন এই ঘটনা ঘটল। শান্তনু ঠাকুরের মদতে ওরা সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়কেই শেষ করে দিতে চাইছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র মমতা ঠাকুরের অপমান নয়, সমগ্র মতুয়া সমাজের অপমান এবং আমরা সকলে একজোট হয়ে এর যোগ্য জবাব দেব।