রায়গঞ্জ:‘প্রত্যেক প্রশ্নপত্র পেতে লাগবে ৮০০০ টাকা’-সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্নের ফাঁদে পড়েছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। রায়গঞ্জ শহরের উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীদের একাংশের এমনটাই দাবি। পরীক্ষার একদিন বা দু’দিন আগে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অনলাইন (Online) পেমেন্ট করলেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে চলে আসছে প্রশ্নপত্র। সেই অনলাইন পেমেন্টের পরিমাণও নেহাত কম নয়। পেপার প্রতি আট হাজার টাকা পেমেন্ট করলে যে প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে, তা একদম মিলে যাচ্ছে মূল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে। এমনটাই দাবি ছাত্রছাত্রীদের।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ রায়গঞ্জের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীদের একাংশ রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর কথায়, কমপক্ষে আট হাজার টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসছে। যেহেতু প্রশ্নপত্রে এবছর কিউআর কোড থাকছে, সেজন্য সেই জনৈক ব্যক্তি সরাসরি প্রশ্নপত্রের ছবি না তুলে হাতে লিখে প্রশ্নপত্র দিচ্ছেন। বাংলা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্র একদম মিলে গেছে।
আরও পড়ুন: সিউড়িতে সন্দেশখালি, কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ছাত্রী জানান, সোমবার ইংরেজি পরীক্ষা। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে আজ আমি ওই ব্যক্তিকে টেলিগ্রামে মেসেজ করে প্রশ্ন চাই। তখন আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি যে এই প্রশ্নই আসবে তার কি প্রমাণ! তখন আমাদের ইংরেজির আসল প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতার দশ সেকেন্ডের ভিডিও পাঠিয়ে ডিলিট করে দেওয়া হয়। তারপরেই আমরা থানার দ্বারস্থ হই। ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্কা, আগামী পরীক্ষাগুলোতেও ঠিক এই ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা। যদিও থানার পরামর্শ মেনে এদিন সন্ধ্যার পর ছাত্রীরা কর্নজোড়ায় সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাতে যান। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তর দিনাজপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত সাহা বলেন, এই অভিযোগ একদম ভুয়ো। বাংলা পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আঁটোসাঁটো ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ছাত্রছাত্রীরা এরকম ঘটনার আশঙ্কা করলে পুলিশের দ্বারস্থ হোক। পুলিশ যেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও খবর দেখুন