কলকাতা: সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ভোট করানো যাবে না, এই দাবি আগেই তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফেও সেই প্রসঙ্গে সিলমোহর দেওয়া হল। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়ে দিলেন, বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে না সিভিক ভলান্টিয়াররা। তাঁরা শুধুমাত্র ভোটের লাইন ঠিক করবেন এবং নাকা চেকিং পয়েন্টগুলোতেও রাখা হবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এছাড়া তাঁদের বুথের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে দেওয়া হচ্ছে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলো বারবার অভিযোগ তুলেছিল, নির্বাচন কমিশন সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটে কাজে লাগাবে। এমনকী বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বেও থাকবেন এরা। এই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারাও। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে নির্বাচনের প্রতিছবি যাতে এবারের নির্বাচনে না ফেরে তার জন্য আদালতের দারস্থ হয় বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। সেনা বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক, এই দাবি তুলে কলকাতা আদালতেও একাধিক মামলা হয়েছে। আদালত সাফ জানিয়ে দেয় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বাংলায়।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | HC | আমরা কি শুধু পঞ্চায়েত মামলা শুনব, বিরক্ত প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়েকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। তবে সেখানেও ধাক্কা খায় কমিশন এবং রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ইস্যুতে সম্মতি দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী। কলকাতা হাইকোর্টে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দাবি ছিল ৮০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের চাহিদা মতো আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ৪৮৫ কোম্পানিও মঞ্জুর করল কেন্দ্র। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার আদালতেও শুনানি আপাতত স্থগিত তা জানিয়ে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধীদের আদালত অবমাননা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার। অন্যদিকে বিরোধীরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে অনড়।